তরুণ-তরুণীরা আর চাকরি খুঁজবে না, চাকরি দেবে : প্রধানমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক :

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজশাহীর মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দেন না। কিন্তু ক্ষমতায় এসে আমরা তাদের উন্নয়নে কাজ করি। রাজশাহীতে শিল্প-কারখানার বিকাশ ঘটে নি। রাজশাহী খানিকটা অবহেলিত। কিন্তু আমরা রাজশাহীকেও সমান গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন করে যাচ্ছি’। এসময় রাজশাহীবাসীকে শুভেচ্ছাও জানান তিনি।

শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটর এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   – আবু সাঈদ

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে রাজশাহীতে শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটর এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটর এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে আইটিখাতে রাজশাহী অঞ্চলের বিপুলসংখ্যক তরুণ-তরুণীর কর্মস্ংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। তারা চাকরি না খুঁজে এখন নিজেরাই চাকরি দিতে পারবে। সারাবিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশও তথ্যপ্রযুক্তিতে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশও পিছিয়ে থাকবে না’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর বেশি জোর দিয়েছি। এ পর্যন্ত সারাদেশে আমরা ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলেছি। প্রযুক্তিতে সারা বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, সে কারণে আমরাও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা – আবু সাঈদ

তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে আমরা এমনভাবে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে চাই যেন বিশ্বের উন্নত দেশের শিক্ষার্থীদের চাইতে কোনো অংশে পিছিয়ে না থাকে। আমরা আইসিটি এবং কর্মমুখী শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছি। আমরা প্রযুক্তিনির্ভর জাতি গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস, কর্মমুখী শিক্ষা ও আইটি শিক্ষার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। এ কারণে আজ অনেকেই আউটসোর্সিং করে অনেক টাকা রোজগার করছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, ৯৬ সালের একটি মোবাইলের দাম ছিল ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বিএনপির একজন নেতা এই মোবাইল কোম্পানির মালিক ছিলেন। তখন একটি কল ধরলেও ১০ টাকা একটি কল করলেও ১০ টাকা মিনিট খরচ হতো। এখন আমাদের হাতে হাতে মোবাইল। আমাদের তরুণরা মোবাইলের মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণ করছে। আজ প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি।

এসময় রাজশাহীর অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসক হামিদুল হক। পরে এক নারী আইটি উদ্যোক্তা ও একজন রুয়েটের শিক্ষার্থীর সাথে বলা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবির খোন্দকার, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার,  মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।

অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তারা ছাড়াও আইটি উদ্যোক্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


শর্টলিংকঃ