তাইওয়ানের আকাশে চীনা যুদ্ধবিমান, বাড়ল উত্তেজনা


ইউএনভি ডেস্ক:

অনুমতি ছাড়াই মঙ্গলবার হঠাৎই তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে একটি অত্যাধুনিক চীনা যুদ্ধবিমান। সঙ্গে সঙ্গে মৌখিক সতর্কতা জারি এবং অনুপ্রবেশকারীকে ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে তাইওয়ানিজ বাহিনী। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, চীনের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে অন্যতম এসইউ-৩০ ফাইটার মঙ্গলবার তাইওয়ানের দক্ষিণপশ্চিম দিকের আকশসীমায় প্রবেশ করে। তাদের মৌখিক হুঁশিয়ারি দেয়া হয় এবং তাইওয়ানিজ বিমান বাহিনী তাদের ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেয়।

তাইওয়ান আগামী মাসে অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে ফায়ার-ড্রিল পরিচালনার ঘোষণা দেয়ার পরপরই এ ঘটনা ঘটায় নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে অঞ্চলটিতে।

স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে চীন। ২০১৬ সালে সাই লিং-ওয়েন দ্বীপ শহরটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এ অঞ্চলে চীনের যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজের অনুপ্রবেশ বেড়ে যায়। চীনের দাবি, সাই লিং-ওয়েন তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামীদের দলে। আর তাইওয়ানের স্বাধীন হওয়া ঠেকাতে যেকোনও পদক্ষেপ নেবে বেইজিং। এমনকি জোরপূর্বক হলেও ‘মাত্র একদিনের অভিযানে তাইওয়ান দখলের’ হুমকি দিয়েছেন চীনের জয়েন্ট স্টাফ ডিপার্টমেন্টের প্রধান লি জুয়োচেং।

তবে চীনের এমন কর্মকাণ্ডকে ‘অর্থহীন ও অপ্রয়োজনীয়’ উল্লেখ করে কড়া সমালোচনা করেছে তাইপেই কর্তৃপক্ষ। গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দ্বীপটির কাছে দু’বার সামরিক বিমান মহড়া চালিয়েছে চীন। এপ্রিলেও তাইওয়ান উপকূল দিয়ে গিয়েছে চীনের পাঁচটি যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমানবাহী একটি বিশাল রণতরী।

এদিকে, চীনের পাশাপাশি তাইওয়ানে সামরিক কার্যক্রম বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলে দ্বীপটির স্বাধীনতার পক্ষের অন্যতম সমর্থক এবং অস্ত্র সরবরাহকারী পেন্টাগন।

মঙ্গলবারই পৃথক এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এদিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমান সি-৪০এ (বোয়িং ৭৩৭-এর সামরিক রূপ) তাইওয়ানের আকাশসীমায় অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করে। তবে সেটি অবতরণ করেনি।

মার্কিন বিমানটি জাপানের ওকিনাওয়া ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে তাইওয়ানের উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় চলে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

সূত্র: আল জাজিরা


শর্টলিংকঃ