Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

তানোরে এনজিও কর্মীদের কিস্তি আদায়


তানোর প্রতিনিধি:

তানোরে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে গ্রামে গ্রামে গিয়ে কিস্তি আদায় শুরু করেছেন বিভিন্ন এনজিও কর্মীরা। সরকারী নির্দেশনায় বলা হয়েছে আগামী ৩০ জুনের আগে কোন এনজিও ঋনের কিস্তি আদায় করতে পারবেনা। এর জন্য একটি মনিটরিং সেলও খোলা হয়েছে। কিন্তু তানোর উপজেলায় বিভিন্ন এনজিও কর্মীরা ঈদের পর থেকেই গ্রামে গ্রামে গিয়ে কিস্তি আদায় শুরু করেছে।

সম্প্রতি সরকারী ভাবে অঘোষিত লকডাউন শিথিল করার পর থেকে পুরোদমে এনজিও গুলো তাদের অফিস খুলে যথারিতি কার্যক্রম শুরু করেছেন। তাই এনজিও কর্মীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে ঋন গ্রহীতাদের কাছ থেকে কিস্তি আদায় শুরু করেছেন।

আজ (২ জুন) মঙ্গলবার বেলা ১০টার দিকে তানোর সদরের কয়েকটি এনজিও অফিসে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, অফিসগুলো পুর্বের ন্যায় খোলা রয়েছে, অফিস সহকারীরা অফিস পাহারা দিচ্ছেন আর কর্মীরা মাঠে গিয়েছেন কিস্তি আদায় করতে।

তানোর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিছু কিছু এনজিও কর্মীরা ঈদের পর থেকেই কিস্তি আদায়ের জন্য গ্রামে গ্রামে গিয়ে নিজ নিজ সদস্যদের চাপ দিতে শুরু করেন। কিন্তু লকডাউন সিথিল হওয়ায় গত রোববার থেকে পুরো দমে কিস্তি আদায় করতে শুরু করেছেন।

২ জুন মঙ্গরবার বিভিন্ন গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এনজিও কর্মীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে কিস্তি আদায করছেন। ঋন গ্রহীতা কয়েকজন বলেন, এনজিও কর্মীদেরকে ঋনের কিস্তি না দিলে পরবর্তিতে আর ঋন পাওয়া যাবেনা। একারনেই ঋনের কিস্তি নিয়মিত পরিষদের চেষ্টার পাশাপাশি এনজিও কর্মিদের কথা শুনতে তারা বাধ্য হন।

এবিষয়ে নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি এনজিও ম্যানেজার বলেন, উপরের নির্দেশে আমরা কিস্তি আদায় শুরু করা হয়েছে, তবে ঋন আদায় কাউকেউ কোন চাপ দিয়া হচ্ছেনা। তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতোর সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।


Exit mobile version