তানোরে গড়ে উঠেছে বহুতল আধুনিক বিদ্যাপিঠ


লুৎফর রহমান তানোর,

রাজশাহীর তানোর উপজেলা সদরে গড়ে উঠেছে বহুতল আধুৃনিক বিদ্যাপিঠ। এ সব বিদ্যাপিঠে তৈরি হয়েছে ডিজিটাল ল্যাব। শিক্ষকরা ল্যাব ব্যবহার করে প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্লাশ নিচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, মনে হয় উন্নত বিশ্বের বিদ্যাপিঠে আমরা শিক্ষা অর্জন করছি।

 

জানা যায়, ২০১৮ সালের ৮আগস্ট বিদ্যাপিঠটি জাতীয়করণ করা হয়। রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী কলেজটি জাতীয়করণ করার জন্য বিশেষ অবদান রাখেন। বর্তমানে কলেজটির নামকরণ হয়েছে ‘সরকারি আব্দুল করিম সরকারী কলেজ’। তানোরে বহুতল শিক্ষা ভবণ প্রায় ১০টির মতো গড়ে উঠেছে। ফলে এলাকার মানুষ এসব আধুনিক বিদ্যাপিঠ নিয়ে গর্ববোধ করছেন।

তৎকালীন সময়ের তানোর পৌর সদরের মথুরাপুর গ্রামের শিক্ষানুরাগী আব্দুল করিম সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে ১৯৭১ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে কলেজে লেখাপড়ার মান বিবেচনায় ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট কর্তৃপক্ষ কলেজটিকে জাতীয়কতরণ করেন। কলেজটিতে ৭১ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। কলেজে শিক্ষার্থী প্রায় ২ হাজারের মতো। বর্তমানে ১২ কক্ষ বিশিষ্ট ৪ তলা আধুনিক ভবণ নির্র্মাণ করা হয়েছে।

কলেজ অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান মিয়া বলেন, কলেজের শিক্ষার্থীদের বিনা খরচে কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা কলেজে বসেই বর্হিবিশ্বের খবরা-খবর নিতে পারছে।

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন নামী-দামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগামীতে জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ হিসেবে তিনি কলেজটিকে গড়ে তুলবেন বলে জানান।


শর্টলিংকঃ