তারেক রহমানের ঔদ্ধত্য ও অবজ্ঞায় ক্ষুব্ধ যুক্তরাজ্য বিএনপির কর্মীরা!


বক্তব্য, প্রেসব্রিফিং ও মানববন্ধনে বিএনপির কার্যক্রম সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ায় যুক্তরাজ্য বিএনপিতে বাড়ছে ক্ষোভ। তারেক রহমানের অদূরদর্শী কূটনীতি, অব্যবস্থাপনাপূর্ণ নেতৃত্ব এবং স্বৈরাচারী মনোভাবের কারণে দলের প্রতি দিন দিন উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

বিদেশে বসেও চাঁদাবাজি বন্ধ না করায় তারেক রহমানের প্রতি অসন্তুষ্টির পাশাপাশি দলবিমুখ হচ্ছেন লন্ডনের নেতা-কর্মীরা।লন্ডন বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতার বরাতে এমন অভিযোগের বিষয়ে জানা গেছে।

যুক্তরাজ্য বিএনপির রাজনৈতিক হতাশা ও বেহাল দশার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে লন্ডন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মো. আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা এবং কার্যকরী নির্দেশনার অভাবে দূর পরবাসে বসেও নেতারা দলের জন্য কিছু করতে পারছেন না।

সত্যি বলতে, তারেক রহমানও কূটনৈতিক তৎপরতায় খুব বেশি সফল হতে পারছেন না। শুধু বিভিন্ন উৎসবে প্রেসব্রিফিং করছেন আর কর্মীদের কাছ থেকে হলরুমের ভাড়া আদায় করছেন। এটি মূলধারার রাজনীতি হতে পারে না।

তিনি আরো বলেন, এছাড়া তারেক রহমানের আশেপাশে থাকেন বলে লন্ডন বিএনপি নেতারা বিশেষ করে আব্দুল মালিক, সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম কামালদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে চান না অনেক নেতাই। খুব কষ্ট করে তারেক রহমানের সাক্ষাত পেলেও তিনি কর্মীদের সাথে ভালোভাবে কথা বলতে চান না।

ব্যস্ততার মিথ্যা অজুহাতে নেতা-কর্মীদের এড়িয়ে যান। তার ভেতর এক ধরণের স্বৈরাচারী ভাব রয়েছে, যার কারণে নেতা-কর্মীরা তারেক রহমানের কাছে যেতে ভয় পান।এদিকে তারেক রহমানের বিষয়ে আনিত অভিযোগকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন লন্ডন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মালিক।

তিনি বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন দলের একটা অংশ। বিভিন্ন পক্ষের সুবিধা নিয়ে তারেক রহমানের ইমেজ নষ্ট করতে দলের অভ্যন্তরীণ কিছু শক্তি মাথাচাড়া দিয়েছে। বিএনপি আগের চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ।

মিথ্যাচার করে তারেক রহমানকে ছোট করা যাবে না। যারা দলীয় নেতা ও দলের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যাচার করছেন, তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


শর্টলিংকঃ