তিন ফ্লোরে ৩২ জন নিয়ে ২৪ ঘণ্টা অবৈধ ব্যবসা


ইউএনভি ডেস্ক:

বেসিক বিজ মাকের্টিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান অনলাইন আউট সোর্সিং ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বিট কয়েন ও বিভিন্ন প্রতারণামূলক ব্যবসা করে আসছিল। এর স্বত্বাধিকারী ইসমাইল হোসেন সুমন ওরফে কয়েন সুমন।


মাস্টার্স পাশ সুমন ২০১৩ সাল থেকে এ ব্যবসা করছিলেন। শুরুতে একটি ছোট অফিস থাকলেও পরে অবৈধ এই কাজের মাধ্যমে বাড্ডায় ৩টি ফ্লোরে ৩২ জন কর্মচারী নিয়ে বিশাল প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, যা ৩টি শিফটে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। এই অবৈধ ও প্রতারণামূলক ব্যবসার মাধ্যমে তিনি বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হন।

কয়েন সুমনসহ ১২ জনকে সোমবার গ্রেফতারের খবর জানিয়েছে র‌্যাব। রোববার রাত আড়াইটার দিকে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা দল ও র‌্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাড্ডা এলাকায় ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে ২৯টি ডেস্কটপ কম্পিউটার, ৩টি ল্যাপটপ, ১৫টি মোবাইল ফোন, ১টি ট্যাবলেট ফোন ও বিভিন্ন নথিপত্র জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন-মো. ইসমাইল হোসেন সুমন ওরফে কয়েন সুমন, আবুল বাশার রুবেল, আরমান পিয়াস, রায়হান আলম সিদ্দিকি, মো. জোবায়ের, মেহেদী হাসান রাহাত, মেহেদী হাসান, রাকিবুল হাসান, মো. রাকিবুল ইসলাম, মো. সোলাইমান ইসলাম, মো. জাকারিয়া এবং মো. আরাফাত হোসেন। এদের প্রত্যেকের বাড়ি বরগুনা জেলায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র‌্যাব জানায়, চক্রের মূলহোতা সুমনের ঢাকায় ২টি ফ্ল্যাট, প্লট, সুপার শপ ইত্যাদি ব্যবসা রয়েছে। তার একাধিক ভার্চুয়াল ওয়ালেট রয়েছে। যেখানে বিট কয়েনের মাধ্যমে অর্জিত লক্ষাধিক ডলার মজুত রয়েছে। তিনি বিট কয়েনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ১২-১৫ লাখ ডলার লেনদেন করেছেন। র‌্যাব আরও জানায়, গ্রেফতার কয়েন সুমন বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ই-মার্কেটিং সাইটে আকর্ষণীয় মূল্যে বিজ্ঞাপন প্রদান করতেন।

পরবর্তীতে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করতেন। এছাড়াও দেশে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসায়ী, জুয়াড়িদের কাছে বিট কয়েন বিক্রি করতেন। তিনি অনলাইনে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির সঙ্গেও জড়িত আছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। গ্রেফতার অপর ১১ জন তার প্রতারণা, জালিয়াতি ও অবৈধ বিট কয়েন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ও সহযোগী।


শর্টলিংকঃ