Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

ত্রাণ চাইতে গিয়ে লাঞ্ছিত নারীর পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও


আবু হাসাদ, পুঠিয়া:

“সেই অন্তঃসত্ত্বা নারীকে এবার প্রাণনাশের হুমকি ” শিরোনামে অনলাইন ইউনিভার্সাল টুয়েন্টিফোর পত্রিকার সংবাদ প্রকাশের পর নির্যাতিতা ওই পরিবারের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান। পাশাপাশি নির্যাতনের ওই ঘটনায় তদন্তপূর্বক দোষীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দেন নির্বাহী কর্মকর্তা।


বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাসভবনে ওই নির্যাতিতা পরিবারের সাথে স্বাক্ষাত করেন এবং তাদের খোজ খবর নেন। এ সময় ওই নির্যাতিতার স্বামিকে বিভিন্ন খাদ্য সহায়তা ও নগদ দুই হাজার টাকা প্রদান করেন।

নির্যাতনের শিকার চামেলী বেগমের স্বামী নরসুন্দর শরীফুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন থেকে আমার কাজ বন্ধ রয়েছে। তাই কিছু সরকারী সহায়তার আশায় আমার স্ত্রী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফ খান ঝন্টুর কথিত প্রতিনিধি মোতাহার আলীর বাড়িতে যায়। সেখানে গেলে ত্রানতো দুরের কথা উল্টো আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শাররিক নির্যাতন সইতে হলো। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান বলেন, চেয়ারম্যানদের প্রতিনিধি বলে কোনো পদ নেই। এই সংকট মুহুর্তে কারো কোনো সহায়তার প্রয়োজন হলে সরাসরি আমার নিকট আসতে পারেন। নারীকে নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, আমার নিকট লিখিত অভিযোগ দিলে আমি তদন্তপূর্বক দোষীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

উল্লেখ্য, গত ৩ জুন নরসুন্দর শরীফুল ইসলামের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী চামেলী বেগম সদর ইউনিয়নের পালোপাড়া-তাহেরের মোড় এলাকায় চেয়ারম্যানের কথিত প্রতিনিধি মোতাহার আলীর বাড়িতে সরকারী ত্রাণ চাইতে যায়। সেখানে তাকে কোনো প্রকার ত্রাণ দেয়া হবে না বলে জানায় চেয়ারম্যানের কথিত প্রতিনিধি মোতাহার আলী। সে সময় ত্রাণ না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে মোতাহার আলী তাকে শাররিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন। ওইদিন রাতে চামেলী বেগম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় গত ৯ জুন চেয়ারম্যানের লোকজন থানায় দায়ের করা অভিযোগ তুলে নিতে ওই নারীর ওপর চওড়া হয়। এক পর্যায়ে তারা ক্ষীপ্ত হয়ে ভূক্তভোগিকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।


Exit mobile version