ত্রুটির কারণে রামেকের ল্যাবে একদিন পর আবার টেস্ট শুরু


বিশেষ প্রতিবেদক : 

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) করোনা ল্যাবের কিছু রিপিয়ারিংকাজের জন্য শুক্রবার কোনো নমুনা পরীক্ষা হয় নি।  তবে শনিবার থেকে যথারীতি কাজ শুরু হয়েছে।কিন্তু এখন পর্যন্ত  রাজশাহী বিভাগের কোনো ব্যক্তির করোনা  পাওয়া যায় নি।  এতে নতুন করে আশা জেগেছে চিকিৎসকদের মনে। 

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী ইউনিভার্সাল২৪নিউজকে বলেন, আমাদের এখানে করোনা ল্যাব নতুন। যারা কাজ করছেন তাদেরও অভিজ্ঞতা নেই এ ধরনের কাজে। ল্যাবে মেশিনারিজের কিছু সমস্যা হয়েছিল। সেটা রিপিয়ারিংয়ের কারণে শুক্রবার আমরা কোনো নমুনা টেস্ট করতে পারি নি। তবে শনিবার পুরোদমে টেস্টের কাজ চলছে।

এদিকে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজে করোনা চিকিৎসা কমিটির আহ্বায়ক ডা. আজিজুল হক আজাদ শনিবার নিয়মিত  সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন,, গত ১ এপ্রিল রামেকে ল্যাব চালু হয়। এরপর ৩০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে বগুড়ার জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ থেকে আসা নমুনায় এক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির বাড়ি রংপুর। এর বাইরে রাজশাহী বিভাগের আট জেলা থেকে কোনো রোগীর নমুনায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

তিনি জানান, শনিবারও ল্যাবে ১১৩ জনের নমুনা এসেছে। এর মধ্যে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ল্যাবে একসঙ্গে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা যায়। বাকি যে নমুনাগুলো আছে সেগুলো রবিবার পরীক্ষা করা হবে।
এসময় আরো জানানো হয়, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুইজন ভর্তি হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া এই দুই রোগীকে সংক্রমক ব্যাধি (আইডি) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে একজনের বাড়ি পাবনা এবং অপরজনের রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়া এলাকায়। পাবনা থেকে আসা ছাত্র ঢাকার মিরপুরে থাকতেন। আর নওদাপাড়া এলাকা থেকে এসে ভর্তি হওয়া ব্যক্তি ব্যবসায়ী। তিনি ব্যবসার কাজে ঢাকার মিরপুর এলাকায় গিয়েছিলেন।

করোনা চিকিৎসক টিমের প্রধান বলেন, ঢাকার মিরপুর এলাকায় অনেকগুলো করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। সেখান থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে। সে কারণে এই দুইজনকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। কারণ তারা দুইজনেই ওই এলাকায় ছিলেন বা গিয়েছিলেন। তাদের দুইজনের মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকলেও পাবনার ছাত্রের জ্বর কিছুটা কমেছে। তাদের দুইজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।

এ সময় রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস মো. খায়রুল আতাতুর্ক বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম স্বাভাবিক চলছে। শনিবারও হাসপাতালে ৫৬৮ জন রোগী ভর্তি আছেন। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৯৩ জন। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার ৭৬টি অস্ত্রোপচার হয়েছে।


শর্টলিংকঃ