Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

দগ্ধ সেই মাদরাসা ছাত্রী লাইফ সাপোর্টে


ইউএনভি ডেস্ক:

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় দগ্ধ মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত ভালো নেই। ক্রমান্বয়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) ঢামেকের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘বার্ন ইউনিটে চিকিৎসারত ফেনীর ওই মাদরাসার ছাত্রীর শারীরিক অবস্থা ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাচ্ছে। যে কোনো সময় যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আমরা এখন তাকে লাইফ সাপোর্টে নিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই ছাত্রীর চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যেই আমরা নয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছি। রোববার (৭ এপ্রিল) থেকেই এই বোর্ড তার চিকিৎসার বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে।’

বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে, আগুনে মেয়েটির শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। এর মধ্যে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশই গভীর। সোনাগাজী থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পরপরই তার একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান ওই ছাত্রী। মাদরাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের উপর কেউ মারধর করছে- এমন সংবাদ দিলে রাফি ওই বিল্ডিংয়ের চার তলায় যায়।

সেখানে মুখোশ পরা চার-পাঁচ জন ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। রাফি অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ফেনী থেকে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

এদিকে নুসরাতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২৭ মার্চ মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদদৌলা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনায় তার মায়ের করা মামলায় অধ্যক্ষ এখন কারাগারে।


Exit mobile version