দরিদ্র শহিদুলের পাশে ইউএনও


আমানুল হক আমান, বাঘা:

রাজশাহী বাঘা উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর চরের মেধাবী দিনমুজুরের ছেলে শহিদুল ইসলামকে মেডিকেলে ভর্তির জন্য জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা অনুদান প্রদান করেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এই অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের চকরাজাপুর চরের হতদরিদ্র দিনমজুর আবদুল কুদ্দুসের ছেলে শহিদুল ইসলাম। তিনি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ঢাক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবনা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি হতে পারছিলো না। এই বিষযটি নিয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেন। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা নিজ অফিসে ডেকে তাকে ভর্তির জন্য অনুদান প্রদান করেন।

শহিদুল ইসলাম ২০১৭ সালে কবুরহাট উচ্চবিদ্যালয় ও ২০১৯ সালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। তিনি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর এবং পাবনা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

শহিদুল ইসলামের বাবা আবদুল কুদ্দুস বলেন, আমি দিনমুজুর। আমার কোন জমিজমা নেই। আমার এ অবস্থা দেখে ছেলের খালাতো ভাই কুষ্টিয়ায় নিয়ে যায়। সেখানে লেখাপড়া করে। তবে প্রাথমিক ও জেএসসি পর্যন্ত আমার এখান থেকে লেখাপড়া করেছে। এছাড়া আমার ছেলে-মেয়ে সবাই লেখা পড়া করছে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমার ছেলের জন্য ইউএনও স্যারকে অবগত করলে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছেন।

চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, আমার ইউনিয়নে ১০০ দিনের কর্মসূচীর শহিদুল ইসলামের বাবা আবদুল কুদ্দুস একজন লেবার। তার মা বাড়িতে দুই/একটি গরু ছাগল পোষে। বাবা যায় কাজে মা বাড়িতে গরু ছাগলের জন্য মাঠে ঘাস কাটে। তারা অনেক কষ্টে জীবন যাবন করে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছে।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, দরিদ্র মেধাবী ছাত্র শহিদুল ইসলামকে মেডিকেলে ভর্তির জন্য আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে।

 


শর্টলিংকঃ