Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

দাফনের আগে নড়ে উঠল নবজাতক!


ইউএনভি ডেস্ক: 

হাসপাতালের বারান্দায় মৃত ঘোষণা দিয়ে এক নবজাতককে কার্টুনে মুড়িয়ে ফেলে রাখা হয় চার ঘণ্টা। এরপর দিয়ে দেওয়া হয় স্বজনদের কাছে। কিন্তু বাড়িতে নিয়ে দাফনের প্রস্তুতি নিতে কার্টুন খুললে নবজাতকটি নড়েচড়ে উঠে। দেখা যায় নবজাতক শিশুটি জীবিত।

এ ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক)। শনিবার বিষয়টি জানাজানির পর তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন কুমেক হাসপাতালের পরিচালক।

সূত্র জানায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার চড়ানল গ্রামের জামাল হোসেনের স্ত্রী শিউলী আক্তারের প্রসব ব্যথা উঠলে গত বৃহস্পতিবার কুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকাল ৬টায় সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। জন্ম নেয় একটি পুত্র সন্তান। কিন্তু জন্মের পর ওই হাসপাতালে কর্মরত এক আয়া প্রথমে স্বজনদের কাছ থেকে একটি কাথা নিয়ে মুড়িয়ে মেঝেতে ফেলে রাখেন।

এর কিছুক্ষণ পর একটি কার্টুনে বেঁধে হাসপাতালের বারান্দায় আরও চার ঘণ্টা ফেলে রাখা হয়। পরে শিশুটিকে দাফনের জন্য স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু বাড়িতে যাওয়ার পর দাফনের প্রস্তুতি নেয়ার সময় কার্টুন খুলে দেখা যায় ওই শিশুটি জীবিত।

শিশুটির পিতা জামাল হোসেন জানান, শুক্রবার সকাল ৬টা অপারেশন হয়। শিশুটির দিকে কোনো ডাক্তার বা নার্স নজর দেয়নি। চার ঘণ্টা মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। পরে বাড়িতে নিয়ে দাফনের প্রস্তুতি নেয়ার সময় জীবিত দেখে দ্রুত কুমিল্লার একটি হাসপাতালে এনে ওই নবজাতককে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।

ওই হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক ডা. তাপস চৌধুরী জানান, চিকিৎসকের মৃত ঘোষণা ছাড়া একজন আয়া কিভাবে এ কাজ করে সেটা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। ২৮ সপ্তাহের আগে প্রি-ম্যাচিউর এই শিশুটি অলৌকিকভাবে বেঁচে আছে। আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি।

একই হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (এনআইসিইউ) মেডিকেল অফিসার রাব্বি হোসেন মজুমদার জানান, ‘শিশুটি এখন শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে। সাধারণ শিশুদের থেকেও সে অনেক কম শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে। তাই আমরা অক্সিজেন দিয়ে শিশুটিকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানের সাথে কথা বলব। এক্ষেত্রে কারো গাফিলতি বা ভুল প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’


Exit mobile version