ভোরে মারা গেল সানজিদা রাতে শামীমা


মাহবুব হোসেন, নাটোর :

মঙ্গলবার ভোরে মারা গেলো কলেজ ছাত্রী সানজিদা। আর একইদিন রাতে মৃত্যুর কাছে হার মানলো শামীমা। তারা ছাত্রী নিবাসে রান্না করতে গিয়ে কেরোসিনের স্টোভ বিস্ফোরণে একইসাথে দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিল। সানজিদা ও শামীমা নাটোর সরকারী এনএস কলেজের ছাত্রী ছিল।

 শামীমা খাতুন

নাটোরে ছাত্রী নিবাসে কেরোসিনের স্টোভ বিস্ফোরণে দগ্ধ সানজিদা আক্তারের পর মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন অপর শিক্ষার্থী শামীমা খাতুন (১৮)। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শামিমা খাতুন গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের সোহরাব মন্ডলের মেয়ে। সে নাটোরের সরকারী এনএস কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ছিলো।

শামিমার ভাই আকরাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতেই তার বোনের লাশ গ্রামের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুরে নিয়ে আসা হয়েছে। এসময় গোটা এলাকায় হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এরআগে মঙ্গলবার ভোরে একই ঘটনায় দগ্ধ সানজিদা আক্তারের মৃত্যু হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।

 

  সানজিদা

গত ২৭ জুন সকালে নাটোর শহরের বড়গাছা এলাকার জ্যোতি ছাত্রী নিবাসে কেরোসিন স্টোভে রান্না করার সময় নাটোর এনএস সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ৩ ছাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে শামীমা ও সানজিদাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়।

মঙ্গলবার ভোরে সানজিদার মৃত্যু হয়। একইদিন রাত ১২টার দিকে মৃত্যু হয় শামিমা খাতুনের। তাদের দুজনের শরীরই ৫০ থেকে ৬০ ভাগ পুড়ে যায়। অগ্ধ অপর ছাত্রী ফাতেমা চিকিৎসাধিন রয়েছে নাটোর সদর হাসপাতালে।


শর্টলিংকঃ