- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

দুদকের মামলায় খাদ্য কর্মকর্তাসহ ৬ জন কারাগারে


নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা:

পাবনার ভাঙ্গুড়া এলএসডি খাদ্য গোডাউনের বিপুল পরিমান গম আত্মসাৎ পূর্বক গোজামিল দিয়ে হিসাব দাখিল করতে গিয়ে দুদক টিমের কাছে ধরা পড়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাসহ তদন্ত কমিটির সদস্যরা। দুদকের দায়ের করা মামলায় জামিন নিতে এসে বুধবার বিকেলে কারাগারে গেলেন এলএসডি গোডাউনের কর্মকর্তা, তদন্ত কমিটির সদস্যসহ ৬ জন।


বুধবার পাবনার স্পেশাল জজ আদালতে হাজির হয়ে বিজ্ঞ বিচারক শেখ মোঃ নাসিরুল হকের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থণা করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পেরনের আদেশ দেন। তারা হলো প্রাক্তন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওমর হোসেন, প্রাক্তন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সামাদ, প্রাক্তন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জয়নাল আবেদীন, প্রাক্তন খাদ্য পরিদর্শক সাদাত হোসেন, খাদ্য পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর ও ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম (বকুল)।

দুদক পাবনা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৬ সালের ১৭ জুন পাবনার ভাঙ্গুড়া এলএসডি গোডাউনে ১৪০ বস্তা গম কম ছিল। এ ঘটনায় গোডাউনের ওসি পরিতোষ কুমার সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ঘটনার আটদিন পর একই গোডাউনে ১৪০ বস্তা গম বেশি দেখানো হয়। যা পূর্বের কমের সাথে সমন্বয় করা হয়।

অথচ বাৎসরিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৬ সালের ৩০ জুন ৩ নং ও ৬ নং গোডাউন মিলে মোট ১৩১৪.২৪৩ মে.ট. গম ছিল। ৬ নং গোডাউনে ২৪০০ বস্তা গম মজুদ ছিল এমন স্বাক্ষর রয়েছে ইউএনও ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের। ২০১৬ সালের ১৭ আগষ্ট পর্যন্ত আর কোন গম ঢুকানো বা বের করা হয়নি। অথচ ২০১৬ সালের ০৩ আগষ্ট ওই খামালে ২৫৪০ বস্তা গম পাওয়া যায়। যা দুদকের কাছে অস্বাভাবিক ছিল। ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই খাদ্য গুদাম থেকে জনসাধারণ কর্তৃক ৩’শ বস্তা অর্থাৎ ১৫ মে.টন গম বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় আটক করা হয়। যার মূল্য ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।

দুদক এর দাবী, ওই গম ওসি পরিতোষ কুমার সরকার (সাময়িক বরখাস্ত) আত্মসাৎ করেছেন। মামলার অন্য আসামীরা তদন্ত কমিটির সদস্য। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনৈতিক পন্থায় ভুল তথ্য রেকর্ড করায় তারা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ ঘটনায় দুদকের পক্ষে চলতি বছরের ৪ আগষ্ট মামলাটি দায়ের করা হয়।

ওই মামলার বাদী ছিলেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক. সাইদুর রহমান এবং মামলাটির তদন্ত করেন উপসহকারী পরিচালক আব্দুল করিম মোল্লা।