দুধ সংগ্রহ শুরু হওয়ায় স্বস্তিতে পাবনার খামারীরা


কলিট তালুকদার, পাবনা :
তরল দুধ উৎপাদন বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা স্থগিতাদেশ দেয়ায় পাবনায় খামারীদের কাছ থেকে দুগ্ধ সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছে সবগুলো প্রতিষ্ঠান। পাবনা অঞ্চলে প্রায় ১১ টি দুগ্ধ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান দুধ সংগ্রহ করে থাকে। এদিকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার স্বস্তি ফিরে এসেছে দুগ্ধ খামারী ও সংগ্রকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে।

পাবনা অঞ্চলে খামারী রয়েছে প্রায় ১২ হাজার। আর পাবনার ৯টি উপজেলায় দুধ উৎপাদন হয় প্রায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ লিটার। এই সমস্ত দুধ এই অঞ্চলের সাধারন মানুষের চাহিদা মিটিয়ে খামারীরা বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিক্রি করে থাকে। এই শিল্পের উপর নির্ভর করে এই অঞ্চলে গড়ে উঠেছে গরুর খামার।
পাবনা ভাঙ্গুড়া উপজেলার খামারী রশিদ বলেন, মনে হচ্ছে জীবন ফিরে পেলাম। এই দুধের উপরে আমার এবং এই অঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার জড়িত রয়েছে। যে কয়েকদিন দুধ সংগ্রহ বন্ধ ছিল সেই কয়েক দিনে কয়েক লক্ষ টাকার দুধ নষ্ট হয়েছে এবং আমরা প্রত্যেকটা খামারী আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তবে হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়াতে আমরা অনেক খুশী।

পাবনা চাটমোহর উপজেলার দুগ্ধ খামারী বারেক বলেন, ব্যাংক লোন, সমিতির লোন নিয়ে খামার করেছি। এই খামারের উপার্জন দিয়ে আমরা সংসার চলে। সন্তানেরমত করে গুরু লালন পালন করতে হয়। যে কয়েক দিন দুধ সংগ্রহ বন্ধ ছিল সেই কয়েক দিন পানির দামে দুধ বিক্রি করেছি। আমরা দুধে কোন ধরনের ভেজাল মিশাই না। আমাদের কাছ থেকে সব চাইতে ভালো দুধ নিয়ে থাকে কোম্পানি। এই দুধ প্রক্রিয়াজাত করে কি করে সেটা আমরা বলতে পারছি না।

পাবনা চাটমোহর এবং ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রাণ ডেইরী ফার্মের সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক শরিফ উদ্দিন তরফদার বলেন,  আমাদের অনেক দুগ্ধজাত পন্য রয়েছে। সেখানে প্রচুর পরিমান দুধ ব্যবহার হয়। এই অঞ্চলের অনেক খামারী আমাদের দুধ সরবরাহ করে থাকে। তবে যে পরিমান দুধ এই এলাকাতে উৎপাদন হয়ে থাকে সমস্ত দুধ আমাদের একারপক্ষে নেয়াও সম্ভব না। তাই হাইকোর্টের নির্দেশনা স্থগিত করায় খামারীসহ আমারাও স্বস্তি পেয়েছি।


শর্টলিংকঃ