Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

দুর্গাপুরে করোনা সন্দেহে আরো দুইজনের নমুনা সংগ্রহ


দুর্গাপুর প্রতিনিধি:

রাজশাহীর দুর্গাপুরে করোনা সন্দেহে আরো দুই জনের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এই দুইজনই উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের বাসিন্দা। এ নিয়ে মোট চার জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

জানা গেছে, এদের দুইজনের মধ্যে একজন নারী ভিক্ষুকও রয়েছে। এছাড়া অপর ব্যাক্তি ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকুরী করতেন। কয়েকদিন ধরে জ্বর, মাথা ব্যথা ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত থাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তাদেরকে হোমকোয়ারান্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন। কিন্তু এলাকাবাসীর আতঙ্ক ও ভয়ের কারণে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় বলে দাবি করেন স্বাস্থ্য বিভাগ।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের আমগাছী গ্রামের এক নারী ভিক্ষুক জ্বর, মাথা ব্যথা ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে গত কয়েকদিন থেকে বাসায় অবস্থান করছেন। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করতো এই নারী ভিক্ষুক। আগে থেকেই এ্যাজমা ও শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছিলো সে। নতুন করে জ্বর ও সর্দিতে আক্রান্ত হয়েছে সে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ঐ নারী ভিক্ষুকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই সাথে তাকে সহ তার পরিবারকে হোমকোয়ারান্টাইনে থাকার নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।

অপরদিকে, একই গ্রামের এক ব্যাক্তির একই লক্ষণ দেখা দেয়ায় তারও রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকুরী করতো ওই ব্যাক্তি। ১০/১২ দিন আগে ঢাকা থেকে নিজ গ্রামে ফিরেছেন তিনি। আগে থেকেই তিনি যক্ষা রোগে ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। নিয়মিত চিকিৎসাও চলছিল তার।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জানান, এ ধরনের সংবাদ পাওয়ার পর থেকে করোনা ভাইরাসের ছিমটম আছে এমন ব্যাক্তিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছি এবং হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, জনমনে আতঙ্ক দূর করতে রোববার দুপুরে মেডিকেল টিম উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের দুইজন ব্যাক্তির নমুনা সংগ্রহ করেছে। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া মঙ্গলবার দুপুরে আরও দুইজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ নিয়ে দুর্গাপুর উপজেলায় মোট চারজনের নমুনা সংগ্রহ করা হল। তবে তাদের রিপোর্ট পজিটিভ কিংবা নেগেটিভ যাই হোক তা আইইডিসিআরে পাঠালে সেখান থেকে আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে জানানো হবে। সে অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ডা. আসাদুজ্জামান।


Exit mobile version