দুর্গাপুরে গার্মেন্টসকর্মীর মরদেহ উদ্ধার


দুর্গাপুর প্রতিনিধি:

রাজশাহীর দুর্গাপুরে গার্মেন্টস কর্মী নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ করেছে নিহত গার্মেন্টস কর্মী শান্তা খাতুনের পিতা নুরুল ইসলাম।

ঘটনাস্থল গাজীপুরের আশুলিয়া মডেল থানা এলাকায় হওয়ায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) আকারে রেকর্ড করে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খুরশীদা বানু কণা জানান, ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের আশুলিয়া মডেল থানা এলাকার মুন্সিপাড়ায়। নিয়ম অনুযায়ী যে থানা এলাকায় ঘটনা সশ্লিষ্ট সে থানায় মামলা দায়ের হবে। কিন্তু নিহতের স্বামী রাজীব লাশটি সেখান থেকে দুর্গাপুরে গ্রামের বাড়ি নিয়ে চলে এসেছে। লাশের দাফন ও মামলা সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দেয়ায় নিহতের পিতার কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ নিয়ে সেটি জিডি আকারে রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি কণা আরো জানান, অভিযোগের কপি, সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আশুলিয়া থানায় পাঠিযে দেয়া হবে। মামলাটি সেখানেই দায়ের হবে। পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা সেখান থেকেই নিতে পারবে নিহতের স্বজনরা।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে পরকিয়ায় বাধা দেয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় দুর্গাপুর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের কন্যা শান্তা খাতুনকে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিহত শান্তার স্বামী রাজীব শান্তার লাশটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি এসে গোপনে দাফনের চেষ্টা চালায়। পরে তাতে বাধসাধেন শান্তার পরিবারের স্বজনরা।


শর্টলিংকঃ