দেরিতে ঘুম থেকে ওঠায় গৃহবধূ খুন!


ইউএনভি নিউজ:

বিয়ের পর ব্যাংকে চাকরি হয় রোমিতারও। এরপর থেকেই মাঝেমধ্যে চাকরি করে ক্লান্ত হয়ে রাত করে ঘরে ফেরেন রোমিতা। এ কারণে প্রায়ই দেরিতে ঘুম থেকে উঠতেন। এ বিষয়ে প্রবল আপত্তি ছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের।

দেরিতে ঘুম থেকে ওঠায় রোমিতাকে রোজই শুনতে হতো নানা ধরনের কটূক্তি। এভাবে একসময় শুরু হয় মানসিক নির্যাতন। মানসিক নির্যাতন এরপর শারীরিক নির্যাতনে রুপ নেয়।

রোমিতা ও তার স্বামী।           ছবি সংগৃহীত

জানা গেছে, প্রতিদিন দেরিতে ঘুম থেকে ওঠায় খুন হলেন রোমিতা নামের এক গৃহবধূ। এমনটাই অভিযোগ নিহত গৃহবধুর বাবা-মার।শুক্রবার সকালে নিজ ঘরে উদ্ধার হয় গৃহবধূ রোমিতার ঝুলন্ত দেহ।

শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে রোমিতাকে খুন করেছে বলে থানায় অভিযোগ করেন রোমিতার বাবা-মা। এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পাটুলি নামক জায়গায়। এ মর্মে পাটুলি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোমিতার বাবা জানান, শুক্রবার সকালে রোমিতার শ্বশুড়বাড়ি থেকে খবর আসে রোমিতাকে পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ খবরে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারেন, রোমিতা মারা গেছেন।

ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর, ২০১৭ সালে পাটুলির ব্যাংক কর্মকর্তা শুভ্রজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় মধ্যমগ্রামের রোমিতা চট্টোপাধ্যায়ের।

বিয়ের পর ব্যাংকে চাকরি হয় রোমিতারও। এরপর থেকেই মাঝেমধ্যে চাকরি করে ক্লান্ত হয়ে রাত করে ঘরে ফেরেন রোমিতা। এ কারণে প্রায়ই দেরিতে ঘুম থেকে উঠতেন। এ বিষয়ে প্রবল আপত্তি ছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। দেরিতে ঘুম থেকে ওঠায় রোমিতাকে রোজই শুনতে হতো নানা ধরনের কটূক্তি।

এভাবেই একসময় শুরু হয় মানসিক নির্যাতন। মানসিক নির্যাতন এরপর শারীরিক নির্যাতনে রুপ নেয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পাটুলি থানা পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে জানিয়েছেন তারা।#


শর্টলিংকঃ