দেশভাগের পূর্বাপর : নোয়াখালীর ডায়েরি


হারুন রশীদ:

নোয়াখালী দাঙ্গা সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছিল মহাত্মা গান্ধীর সফরের জন্য। নোয়াখালীর সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের খবরে তিনি খুব ব্যথিত হয়ে পড়েছিলেন। সহিংসতার সঙ্গে কয়েক গুণ বর্ধিত গুজবও ছড়িয়ে পড়েছিল সারা ভারতে।

নোয়াখালীতে দাঙ্গার খবর পেয়ে পরের সপ্তাহেই কলকাতা চলে এসেছিলেন গান্ধী। তিনি সশরীরে নোয়াখালীতে গিয়ে দাঙ্গাবাজদের নিরস্ত করতে চান। কিন্তু নোয়াখালী তখন এত উত্তপ্ত যে প্রশাসনও সাহস পাচ্ছিল না তাকে সেখানে পাঠাতে। সোহরাওয়ার্দী ও অন্য রাজনীতিবিদরা তাকে বোঝালেন পরিস্থিতি আরেকটু শান্ত না হলে ওখানে যাওয়া তার পক্ষে নিরাপদ নয়। তার ওপর তিনি বলে দিয়েছেন কোনো সরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই নোয়াখালী অবস্থান করবেন। পরে সরকার তার যাত্রার জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করলে তিনি নোয়াখালীর উদ্দেশে কলকাতা ত্যাগ করলেন ৬ নভেম্বর ১৯৪৬।

মহাত্মা গান্ধীর নোয়াখালী অবস্থানের অভিজ্ঞতা নিয়ে মার্কিন সাংবাদিক-লেখক গান্ধীজির জীবনীকার লুই ফিশারের প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণের খানিকটা—

‘তিনি ভোর চারটায় জেগে উঠতেন, তারপর তিন-চার মাইল পথ হাঁটতেন খালি পায়ে। ফিরে এসে প্রার্থনাসভায় বসতেন, গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে আলাপ করতেন। তাদের ভরসা দিতেন। এভাবে তিন-চারদিন একটা গ্রামে কাটিয়ে পরের গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিতেন। তিনি প্রথমত কোনো কৃষকের বাড়িতে যেতেন, প্রধানত মুসলমান কৃষক। যদি প্রথম বাড়িতে প্রত্যাখ্যাত হতেন, তিনি পরের বাড়িতে যেতেন। তিনি মূলত ফলমূল, শাকসবজি ও ছাগদুগ্ধ দিয়ে ক্ষুধা নিবৃত্ত করতেন। তিনি তার নোয়াখালী অবস্থানকালে ৭ নভেম্বর ১৯৪৬ থেকে ২ মার্চ ১৯৪৭ পর্যন্ত সময় এভাবেই কাটিয়েছিলেন। তখন তার বয়স ৭৭-এর কোটায়। এ বয়সে এতটা পথ খালি পায়ে হেঁটে চলা কষ্টকর। ঠাণ্ডায় গান্ধীর পা ফেটে গিয়েছিল। তবু তিনি স্যান্ডেল পরতেন না। কারণ তিনি ভাবতেন নোয়াখালীর পরিস্থিতি উন্নয়নে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। যতদিন পর্যন্ত তিনি সফল না হবেন, তিনি স্যান্ডেল পরবেন না। মাঝে মাঝে পথ চলার সময় দুষ্টু লোকেরা তার পথে ভাঙ্গা কাচের টুকরো, বিষ্ঠা, ময়লা-আবর্জনা ইত্যাদি ছড়িয়ে রাখত। তিনি তাদের দোষ দিতেন না। তিনি বুঝতেন রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশেই ওসব করছে।

‘কোনো কোনো জায়গায় জলাভূমির ওপর বাঁশের তৈরি সাঁকো পার হয়ে চলাচল করতে হতো। চার-পাঁচটি বাঁশকে পাটের দড়ি দিয়ে বেঁধে জোড়াতালি দেয়া সাঁকো। তাতে প্রায়ই ধরার কিছু থাকত না। একবার তিনি পা পিছলে নিচের কাদার মধ্যে পড়েই গিয়েছিলেন। কোনোমতে সামলে নিয়ে ওঠেন। পরে তিনি শুকনো জায়গায় বাঁশ বসিয়ে তার ওপর দিয়ে হাঁটার অভ্যাস করেন। বেশ কয়েকদিন চর্চার পর তিনি ওরকম সাঁকো পারাপারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। প্রথম দিকে গান্ধীর সহযোগীরা তাকে পরামর্শ দিয়েছিল যে তিনি যেন হিন্দুদের বলেন তারা যেন উপদ্রুত এলাকা ছেড়ে নিরাপদ কোনো প্রদেশে সরে যায়। কিন্তু তিনি জোরালোভাবেই সেটা প্রত্যাখ্যান করেন। এভাবে লোকদের যদি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পালিয়ে বেড়াতে হয়, তাহলে “ঐক্যবদ্ধ ভারত” একটা অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। তাছাড়া এটা শান্তিবাদী গান্ধীর মূল যে আদর্শ—“প্রতিটি মানুষ ভিন্ন ভিন্ন মত ও পথ নিয়েও শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে পারে”—সেই আদর্শের পরিপন্থী।

‘গান্ধী মনে করতেন বিপরীতধর্মী মানুষের মধ্যেকার প্রেম—সমমনা মানুষের মধ্যেকার প্রেমের চেয়ে বড়। তিনি নোয়াখালীর সমস্যাকে পর্যবেক্ষণ করার পর তার বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সিদ্ধান্ত নিলেন প্রতিটি গ্রাম থেকে একজন হিন্দু ও একজন মুসলিমকে নির্বাচিত করবেন, যারা নিজ নিজ ধর্মের মানুষের নিরাপত্তার জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করবেন। তিনি দুই ধর্মের মানুষের একটা বৈঠক ডাকলেন, যেখানে তাদের সঙ্গে এক এক করে আলাপ করে মতামত নেবেন।

‘তিনি যে বাড়িতে বৈঠক ডেকেছেন সেই কুঁড়েঘরের মেঝেতে বসে কথা বলছিলেন। উপস্থিত মুসলমানদের মধ্যে অহিংস পদ্ধতির সৌন্দর্য সম্পর্কে প্রচার করছিলেন। সেই সময়ে তার সহকারী সুচেতা কৃপালিনী আলগোছে একটা চিরকুট দিলেন গান্ধীর হাতে। তাতে বলা ছিল ‘আপনার ডানদিকে যে লোকটা বসে আছে সে কয়েকদিন আগের দাঙ্গায় নিজের হাতে বেশ কয়েকজনকে হত্যা করেছে।’

চিরকুট পড়ে গান্ধী একটা বিমর্ষ হাসি দিলেন এবং তার বক্তব্য চালিয়ে গেলেন। গান্ধী ভালো করেই জানতেন তার চারপাশের সবাই অহিংস প্রাণী নয়। তিনি একটি দূরারোগ্য সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। তবু তিনি প্রচলিত আইনের শাস্তি পদ্ধতিতে বিশ্বাস করতেন না। তিনি ভাবতেন একজনকে শাস্তি দিয়ে দশজনকে শিক্ষা দেয়া সম্ভব নয়। একজনকে সাজা দিয়ে সরিয়ে দেয়া হলে সেখানে ঠিকই আরেকজন এসে উপস্থিত হবে। শাস্তির ভয়ে তারা অপরাধ থামিয়ে দেয় না বরং অপরাধের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। তিনি শান্তিতে বিশ্বাস করতেন, শান্তি আসে ক্ষমা থেকে। তিনি হিন্দুদের বললেন মুসলমানদের ক্ষমা করে দিতে। মুসলমানদের বললেন সবকিছু ভুলে আবার মিলেমিশে থাকতে।’

গান্ধী চেয়েছিলেন নোয়াখালীতে তিনি মুসলমান কৃষকদের বাড়িতে বসবাস করবেন। কারণ তিনি মুসলমানদের বোঝাতে চেয়েছিলাম যে তিনি হিন্দুদের মতো মুসলমানদের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তিত। কিন্তু তার সেই চেষ্টা সফল হয়নি। মুসলমানরা তাকে কখনই বিশ্বাস করেনি।

তার পদযাত্রা শুরুর আগে তিনি সুশীলা নায়ারকে বলেছিলেন, ‘মুসলিমদের শেখানো হয়েছে আমি ইসলামের শত্রু। যদি তাদের আস্থা অর্জন করতে হয় এবং সেই ধারণাকে দূর করতে হয়, তাহলে আমাকে তাদের কাছে কোনো রকম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া সম্পূর্ণভাবে সমর্পণ করতে হবে। আমার থাকা-খাওয়া থেকে সব প্রয়োজন মেটাতে তাদের ওপর নির্ভর করতে হবে। তারা আমাকে নিয়ে যা খুশী তাই করতে পারে।’ তিনি বাস্তবেও অনেকটা তাই করেছিলেন।

২৬ ডিসেম্বর শ্রীরামপুরে এক প্রার্থনা সভায় তিনি দুঃখের সঙ্গে বলছিলেন যে একটা সম্প্রদায় অতীতে তাকে বন্ধু বলে ভাবত। এখন সে সম্প্রদায়ের কাছে তিনি শত্রু বিবেচিত হয়েছেন। বস্তুত তার হাতে আপাতত এমন কোনো প্রমাণ নেই, যাতে তিনি তাদের বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেন। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমন কিছু করতে, যাতে মুসলিমরা তাকে বিশ্বাস করে। সে কারণেই তিনি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রামে অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

মহাত্মা গান্ধীর এ নোয়াখালী অভিযান এবং সেখানে তার দীর্ঘ সময়ের অবস্থান মুসলিম লীগ নেতাদের অসন্তুষ্ট করেছিল।

মুসলিম লীগের সংসদীয় বিষয়ক সচিব হামিদুল হক চৌধুরী এক বিবৃতিতে বললেন, ‘গান্ধী বিহারে না গিয়ে নোয়াখালীতে অবস্থান করছেন কারণ তিনি বিশ্বের দৃষ্টি বিহার থেকে সরিয়ে নোয়াখালীর দিকে নিবদ্ধ করতে চান। বহিরাগতদের গুজব থেমে গেলে হিন্দুরা আবারো তাদের মুসলিম প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার জন্য ফিরে আসবে। বাংলায় মহাত্মা গান্ধীর কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ বাংলার পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। গান্ধীর এখন অনতিবিলম্বে বিহারে চলে যাওয়া উচিত। কারণ সেখানে এখনো হত্যাযজ্ঞ চলছে।’

কলকাতায় এক সংবাদ সম্মেলনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী নোয়াখালীতে হিন্দুদের ওপর চলতে থাকা হত্যা, ধর্ষণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের কথা স্বীকার করেন।

মুসলিম লীগ নেতারা পরিকল্পিতভাবে প্রচার চালাতে থাকেন যেন গান্ধীকে নোয়াখালী থেকে বিতাড়িত করা যায়। মুসলিম লীগ সমর্থিত পত্রিকাগুলোয় গান্ধীকে বিভিন্নভাবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে ব্যঙ্গ সহকারে খবর পরিবেশন করা হতো। মুসলিম লীগের এসব প্রচারণার বিপক্ষে মহাত্মা গান্ধী জবাবে গান্ধী বলেছিলেন—‘I have not come to East Bengal to hold an enquiry. I have come to make my humble contribution to a lasting and heart peace between the two communities…Perhaps on reflection, you will discover in your very article valid reason for my longing to be in Noakhali in preference to Bihar. How can I test the efficacy and soundness of my ahimsa except in a place where even the loudest protestations of trust in my professions can be so short-lived as in your case?’

আগেই বলা হয়েছে গান্ধী নোয়াখালীতে কোনো রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই একা একা চলাফেরা করতেন। তিনি আঞ্চলিক জনপ্রশাসনের সাহায্যও নেননি। এক অর্থে তিনি নিজের জীবনকে বাজি রেখেছিলেন। সে কারণে তিনি ধীরে ধীরে মুসলমানদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছিলেন।

তবু কিছু কিছু জায়গায় দেখা গেছে মুসলমানরা তার প্রার্থনা সভাগুলো এড়িয়ে যেত। এমনকি যারা যোগ দিত তাদের মধ্যেও কেউ কেউ মাঝপথে উঠে যেত। গান্ধী যেসব পথ দিয়ে যেতেন, সেসব পথে নোংরা কাদা-ময়লা ছড়িয়ে রাখা হতো। তিনি সেগুলো নিজের হাতে পরিষ্কার করতেন, যাতে তারা বুঝতে পারে তারা কাজটা ঠিক করেনি। শুরুর দিকে গ্রামবাসী সেটা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখত। কিন্তু কয়েকদিন এভাবে চলার পর দেখা যেত গ্রামবাসীও রাস্তা পরিষ্কারে তার সঙ্গে হাত লাগিয়েছে।

১৯৪৭ সালের জানুয়ারি থেকে পরিস্থিতি একটু একটু করে উন্নতি হয়। মুসলমানদের মধ্যে সৌজন্যবোধ জাগ্রত হয়। তার আদাব সালামের জবাব দিতে শুরু করে মুসলমানরা। সহযোগিতার মনোভাবও দেখা যায় কারো কারো মধ্যে। খুব ধীরে হচ্ছিল উন্নতিটা, তবু অগ্রগতিটা বোঝা যাচ্ছিল। কিছু কিছু মুসলমান পরামর্শের জন্য মাঝেমধ্যে তার কাছে আসত। গান্ধী যখন ভাটিয়ালপুরে একটা মন্দিরে প্রতিমা স্থাপন করতে গেলেন, তখন গ্রামবাসী আশ্বাস দিল যে তারা সেই প্রতিমা রক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। গান্ধী লিখেছেন— ‘আমি তখন ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম মুসলমানরা ধীরে ধীরে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছিল। হিন্দুদের মধ্যেও একটা পরিবর্তন আসছিল। তারা আগের তুলনায় সাহসী হয়ে উঠছিল। কিছু কিছু মুসলমান হিন্দুদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে সাহায্য করছিল।’

গান্ধীর সহযাত্রী রেনুকা রায় লিখেছেন—‘আমরা দেখতাম কিছু মানুষ প্রথমে এসে গান্ধীকে চ্যালেঞ্জ করত কিন্তু আধঘণ্টা পরে দেখা যেত সেই মানুষগুলো গান্ধীর সঙ্গে কাজ করতে উদগ্রীব হয়ে আছে, এমনকি তার সঙ্গে যারা আগে থেকে ছিল তাদের চাইতেও বেশি অনুগত হয়ে পড়েছে।’

দীর্ঘ চার মাস ধরে চলমান মহাত্মা গান্ধীর নোয়াখালী শান্তি মিশন কতটা সফল হয়েছিল, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। কারণ তিনি ফিরে আসার পরও কয়েকটা জায়গায় সহিংস ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু সফলতা-ব্যর্থতা একটি আপেক্ষিক ব্যাপার। এখানে তার চেয়েও বড় ছিল তিনি সর্বভারতীয় এবং বৈশ্বিক পর্যায়ের একজন নেতা হয়েও একটি ছোট্ট প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের রক্ষার জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। তার আন্তরিকতায় কোনো খাদ ছিল না। তিনি মানুষের ওপর আস্থা রেখেছিলেন। মানুষকে আস্থায় এনেছিলেন। তিন মাসের বেশি সময় নোয়াখালীতে অবস্থান করে নিদারুণ কষ্ট সহ্য করে হেঁটে দীর্ঘ ১১৬ মাইল অতিক্রম করে নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলের ৪৯টি গ্রামে প্রচারণা চালান। তার নিজস্ব শান্তি প্রক্রিয়ায় দাঙ্গার প্রকোপ পুরোপুরি নির্মূল করতে না পারলেও তিনি দাঙ্গার মহামারী ছড়ানো থামাতে পেরেছিলেন। তা না হলে হয়তো সমগ্র পূর্ব বাংলাই রক্তাক্ত হতে পারত। তার শান্তির দর্শন দিয়ে মানুষের মনে কিছুটা হলেও সংবেদনশীলতা সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন। শুভবোধ জাগ্রত হয়েছিল আক্রমণাত্মক মনোভাবসম্পন্ন মানুষদের মধ্যেও। গান্ধীর নোয়াখালী মিশনের সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল এটি।

 

হারুন রশীদ: সভ্যতা ও ইতিহাস অনুসন্ধানী লেখক


শর্টলিংকঃ