- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

দেশসেরা উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন


ইউএনভি ডেস্ক :

প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে বাংলাদেশের সেরা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন। তিনি আগামী ১৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে এ সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন।

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন

ইতোমধ্যে তিনি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০১৮’ উপলক্ষে এবার তাঁকে রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশসেরা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে।

কামারুল আরেফিন মিরপুর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর সেখানে প্রাথমিক শিক্ষার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে শতভাগ রঙিন বই, স্কুল ড্রেস, কাব ড্রেস, ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ, বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ।

বেঞ্চ, ল্যাপটপ, মডেম, ইন্টারনেট কানেক্ট, পর্যাপ্ত শিক্ষকসহ বিভিন্ন রকমের উন্নয়নমূলক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তিনি।এ সব কর্মকাণ্ডের ফলে উপজেলাটিতে ঝরে পড়ার হার শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। শতভাগ স্কুলে ল্যাপটপ, মডেম, ইন্টারনেট ব্যবস্থা রয়েছে।

তাঁর উদ্যোগে, উপজেলায় শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে ২০০৯ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু ও ২০১০ সাল থেকে বঙ্গমাতার নামে নিয়মিত ফুলবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হচ্ছে। দরিদ্র শিশুদের মাঝে স্কুল ড্রেস, শিক্ষা উপকরণ, কাব ড্রেস, টিফিন বক্স বিতরণ করা হচ্ছে।

শুধু তাই নয়, শিক্ষার নাম উন্নয়ন ও ঝরে পড়া রোধে স্থানীয় ব্যক্তিদের জনসম্পৃক্ত করে নিয়মিত মা ও সুধী সমাবেশের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে যে সকল ব্যক্তি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকতা, জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষকদের জন্য নিয়মিত শিক্ষা পদকের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শিক্ষার মান উন্নয়নে অবদান রাখায় ২০১৮ সালের মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদকে ভূষিত হন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিন বলেন, স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের বিকল্প নেই।  তাই বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষার কল্যাণে কাজ করে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে।  দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে এ উপজেলার সকল বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ, মডেম, ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।