নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর :
বাংলাদেশ পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে এই প্রথম দেশের ভিতর নাটোরে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপগ্রহণ করে রীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ শনিবার সকাল থেকে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় স্থানীয় পুলিশ লাইন্স মাঠে ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
একজনের পরীক্ষা অন্য কেউ যেন না দিতে পারে সেজন্য এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন।
এ ছাড়া পরীক্ষার্থীদের গতিবিধি এবং কেন্দ্রের চার পাশের অবস্থানরত মানুষদের গতি-বিধি সার্বক্ষণিক ড্রোনদ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে ।
জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্র জানায়, শনিবার (২২জুন) সকাল থেকে নাটোর পুলিশ লাইন্স মাঠ পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে জেলার নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথমে শারীরিক গঠন এবং উচ্চতা মাপা হচ্ছে। এরপর লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের নিয়োগ পরীক্ষায় পুরুষ পদে ২৩ জন, নারী পুলিশ সদস্য পদে ৪ জন, বিশেষ কোটায় অপূরণকৃত পদে পুরুষ ২৪ জন, নারী পুলিশ সদস্য পদে ১৮ জনসহ সর্বমোট ৬৯ জন পুলিশ সদস্য নিয়োগ করা হবে।
এদিকে, পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষায় একজনের পরীক্ষা যাতে অন্যজন দিতে না পারে সেজন্য পরীক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপ গ্রহণ করা হচ্ছে। তাছাড়া শতভাগ নিরপেক্ষভাবে নিয়োগ সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে।
তবে নিয়োগ পরীক্ষায় শতভাগ স্বচ্ছ করতে আগে থেকেই জেলা পুলিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে।
নাটোর জেলা পুলিশ সুপার এবং ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি সাইফুল্লাহ আল মামুন, বিপিএম, পিপিএম-বার বলেন, অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে আমরা নাটোর জেলায় পুলিশ সদস্য নিয়োগ করতে চাই। এজন্য আমরা দেশের মধ্যে প্রথমবার নাটোর জেলায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করছি।
তিনি আরও বলেন, কেউ যেন প্রতারনার শিকার না হয়, সেজন্য আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছি। শুধুমাত্র এক’শ টাকার ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে একজন প্রার্থী যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাবে।