দোকান খোলার ছবি তোলায় সাংবাদিকদের ওপর চড়াও


নিজস্ব প্রতিবেদক :

করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ভেঙে কাপড়ের দোকান খোলার ছবি তোলায় সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেছে ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজারে ঘটনা ঘটে।

লাঞ্ছিত হওয়া ফটোসাংবাদিকরা হলেন- প্রথম আলোর শহিদুল ইসলাম দুখু, যুগান্তরের আজম খান, দৈনিক রাজশাহী সংবাদের মুকুল হোসেন,  সোনার দেশের শাহিন আলম ও অনলাইন পোর্টাল বাংলার জনপদের সাংবাদিক মোস্তাফিজ রকি।

লাঞ্ছনার শিকার সাংবাদিকরা জানান, করোনা কারণে সরকারি সিদ্ধান্তে শপিংমলসহ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। আগামী ১০ মে থেকে এগুলো খোলার কথা। কিন্তু এই নির্দেশনা অমান্য করে সাহেব বাজারে দোকান খুলে  বসেছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী।  খোলা দোকোনের ছবি তুলতে  গেলে  সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় রোজ কসমেটিক্সের রুবেল হোসেন ও এ রহমান এন্ড সন্সের মিঠু সরকার। এসময় তারা ফটোসাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও ছবি তুলতে বাধা দেয়।

এঘটনার পর ফটোসাংবাদিকরা নগরীর আরডি মার্কেটের সামনে রাস্তায় বসে প্রতিবাদ জানান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী শাখার সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, সরকারি নির্দেশনা মতে আগামী ১০ তারিখের আগে শপিংমল খোলা যাবে না। কিন্তু তার আগেই রাজশাহীর সাহেববাজার এলাকায় বিভিন্ন দোকানপাট খুলেছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে একজন ফটোসাংবাদিক খুলে রাখা একটি দোকানের ছবি তুলছিলেন। তখন সাহেববাজার এলাকার রোজ কসমেটিকস সেন্টার নামের একটি দোকানের মালিক নুরুজ্জামান রুবেল তার কর্মচারীদের নিয়ে ফটোসাংবাদিককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় অন্য দুজন তাকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তাদেরও লাঞ্ছিত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে তারা সেখানে ছুটে যান এবং এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান।

আসাদ আরো জানান, দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত তারা সাহেববাজার এলাকায় রাস্তায় বসে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। পুলিশ এসেছে। দোকান মালিক সমিতির নেতারাও এসেছেন। এ ঘটনায় তারা মামলা করতে চান।

নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন বলেন, দোকানিরা অন্যায় করেছে। ফটোসাংবাদিকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


শর্টলিংকঃ