দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতিতে ইবি কর্মকর্তারা


ইবি প্রতিনিধি:
বেতন স্কেল ও চাকরির বয়সসীমা পূনঃনির্ধারণসহ তিন দফা দাবি আদায়ে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা। কর্মসূচী চলাকালীন মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির উদ্যোগে প্রশাসন ভবন চত্বরে অবস্থান কর্মসূচীও পালন করে তারা।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি শামসুল ইসলাম জোহা ও সাধারণ সম্পাদক মীর মোর্শেদুর রহমানের নেতৃত্বে সহ-সভাপতি এ কে এম শরীফুদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহানুর আলমসহ, কেরামত আলীসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সমিতির নেতারা জানান দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ কর্মবিরতির অব্যাহত থাকবে।

অবস্থান কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে সমিতির সভাপতি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সকল কর্তাব্যক্তিরা বলেছেন আমাদের দাবি ন্যয় সঙ্গত। তাহলে আমাদের দাবি কেন বাস্তবায়ন করা হচ্ছেনা? আমাদেরকে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে অনেক সময় ক্ষেপন করা হয়েছে। আমাদেরকে অফিস ছেড়ে মাঠে আসতে বাধ্য করা হয়েছে। যদি আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয় তবেই আমরা কর্মসূচী প্রত্যাহার করব। অন্যথায় আরো কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচী প্রদান করা হবে।’

এরআগে অবস্থান কর্মসূচীতে এসে রেজিস্টার এস এম আব্দুল লতিফ দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবস্থান ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া তুলে ধরেন ও প্রশাসনের সাথে আলোচনায় বসার আহবান জানান।

এসময় তিনি জানান, গত ৩১ আগষ্ট ২৪৬ তম সিন্ডিকেট সভায় বেতন স্কেল ও বয়স সীমার দাবি মেনে নেয়া হয়েছে বলে একই সঙ্গে বয়স সীমার বিষয়টি সুপারিশ করে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বেতন স্কেল বৃদ্ধির নীতিমালা প্রণয়নে সিন্ডিকেট তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছে।

উল্লেখ্য, অফিস সময় পরিবর্তন করে ৮টা থেকে দুপুর ২টা করা, চাকরির সময়সীমা ৬০ থেকে ৬২ বছরে উন্নীত করা এবং উপ-রেজিষ্ট্রারের বেতন ৫০ হাজার ও সহকারী রেজিষ্ট্রারের বেতন ৩৫ হাজার ৫০০ করার দাবি করেছে কর্মকর্তারা। দীর্ঘদিন আন্দোলনের পর ৩১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভা পর্যন্ত সময় বেধে দেন কর্মকর্তারা। কিন্তু সিন্ডিকেটে দাবি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়নি দাবি করে ২ সেপ্টেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।


শর্টলিংকঃ