ধানের দাম কম হওয়ায় দুশ্চিন্তায় সরকার: কৃষিমন্ত্রী


ইউএনভি ডেস্ক :

ধানের দাম কম হওয়ায় সরকার দুশ্চিন্তায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানিয়েছেন, ধানের দাম কম, এই সমস্যা সমাধানে তাৎক্ষণিকভাবে চাল রফতানির চিন্তা করা হচ্ছে। প্রথম অবস্থায় ১০ থেকে ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল রফতানির চিন্তা করছে সরকার।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুয়ার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ‍তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা বলি মায়ের মুখে সোনালি ধানের শীষের হাসি। কিন্তু সেই ধানই যে আমাদের জন্য এতোটা বিড়ম্বনার কারণ হবে, তা কখনো ভাবিনি। আমরা কৃষকদের বিভিন্ন সহযোগিতা দিয়েছি।

সারের দাম কমানো, উপকরণের দাম কমানো, ঋণ ও বীজ দিয়ে সহযোগিতা করেছি। ফলে ভালো ফলন এসেছে। ভালো ফলন আমাদের সফলতা। এখন এটাকে কীভাবে বাণিজ্যিকীকরণ করা যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে। প্রক্রিয়াজাতকরণ করে আমাদের এসব অতিরিক্ত উৎপাদনকে কাজে লাগাতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, এখন সমস্যা হচ্ছে শ্রমিকের খরচ বেড়ে গেছে। এটা ভালো যে, শ্রমিকের আজ ঘাটতি। শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না, কিন্তু এটা চাষির জন্য দুঃসংবাদও বটে। কারণ তারা লোক পাচ্ছেন না।

কৃষক রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ধান উৎপাদন করেছে, কিন্তু সেই ধান লেবারের অভাবে ঘড়ে নিতে পারছে না। বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলাপ করেছি, আমরা খুবই দুশ্চিন্তায় রয়েছি। এটা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করছি, কী কী পদক্ষেপ নিলে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারি এবং চাষির মুখে হাসি ফোটাতে পারি।

রোহিঙ্গাদের অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এমনিতেই ঘনবসতির দেশ। আমরা আমাদের নানা সমস্যা এখনও মোকাবেলা করছি। সেখানে ১০ লাখ রোহিঙ্গাদের অবস্থান করার আমাদের জন্য একটি বিরাট বোঝা।

এই সমস্যা সমাধানের আপনাদের আমরা সহযোগিতা চাই। আমরা আন্তরিকভাবে চাই রোহিঙ্গারা স্বদেশে ফিরে যাক; তবে নিরাপদ এবং সম্মানের সঙ্গে যাক। এ বিষয়ে তারা আমাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে চেয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকার বর্তমানে কৃষকদের সমস্যা সমাধানকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। ৫০০ টাকা ধানের মণ, আর প্রতি মণ ধান ফলাতে সারে ৭০০ টাকা খরচ; এটা নিয়েই আমরা কাজ করেছি।

এখন সরকার ১০ থেকে ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল রফতানির চিন্তা করছে। এতে ধানের দাম একটু বেশি হবে এবং কৃষকেরা লাভের মুখ দেখবেন।

রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা যাচ্ছে না বলেও জানান মন্ত্রী।


শর্টলিংকঃ