ধামইরহাটে শেষ মুর্হুতে কর্মমুখর কামার পল্লীগুলো


ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর ধামইরহাটে আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুর্হুতে কর্মমুখর হয়ে পড়েছেন কামারশিল্পীরা। মুসলমান সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে তারা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে কোরবানীর গুরুর মাংস কাটার যন্ত্রপাতি তৈরীর কাজে ঝুঁকছেন তারা। যেন দম ফেলবারও সময় নেই। ব্যস্ততম সময়ে টুংটাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠছে এলাকার কামারপল্লীগুলো।

সরে জমিনে দেখা গেছে, উপজেলার হাটখোলা, টিএনটি মোড়, মঙ্গলবাড়ী বাজার, আগ্রাদ্বিগুন বাজারসহ বিভিন্ন কামারপল্লীতে কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে দা, বঁটি, চাকু, হাসুয়া, কুড়াল, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি তৈরী ও মেরামতের কাজ করছেন কামার শিল্পীরা। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে লোহা এনে সেগুলোকে আগুনে পুড়িয়ে তৈরী করছেন কোরবানীর নিত্য প্রয়োজনীয় উপকরণাদি।

সামনে কুরবানীর পশু জবাই ও কাটাকুটির জন্য ঐসব জিনিসপত্র চাহিদা অনুযায়ী নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা। দীর্ঘ দিন মহামারিতে তাদের কাজ বন্ধ এবং আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ যন্ত্রাংশের ছোয়ায় তাদের মাঝে দুর্দিন চললে ও ঈদকে সামনে রেখে চলছে এক ভিন্ন রকম দৃশ্য। বিশেষ করে কামার শিল্পীরা হয়ে থাকনে হিন্দু সম্প্রদায়ের। সারা বছর কাজ না থাকায় পেশা বদল করলেও ঈদ আসলে আবারো নেমে পড়েন আগের পেশাতে। আর ঈদকে সামনে রেখে কয়েক সপ্তাহ ধরে পার করছেন ব্যস্ত সময়।

ধামইরহাট হাটখোলার কামার শিল্পী বিমল কর্মকার জানান, একসময় আমার হাতে লোহার তৈরী দা,বঁটি,কুড়াল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেভাবে বিক্রি করতাম তা আর এখন নেই বললেই চলে। মেশিনের সাহায্যে এখন এ সকল পণ্য তৈরীর কারণে আমাদের কদর একবারে কমে গেছে। হয়তো এক সময় কাজের অভাবে আমাকেও পেশা পরিবর্তন করতে হবে। তবে কুরবানীর ঈদের মতো মানুষের চাহিদা মতো যদি সারা বছর কাজ থাকতো তবে বাপ দাদার এ পেশা ছাড়ার প্রশ্নই ওঠতো না।


শর্টলিংকঃ