- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

নওগাঁর বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে আনন্দপ্রিয় মানুষের ঢল 


কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ :
নওগাঁর বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পরিবারের বড় সদস্যদের সঙ্গে শিশু-কিশোরদের ঢল নামে। আব্দুল জলিল শিশু পার্ক, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, কুসুম্বা মসজিদ, আলতাদীঘি জাতীয়উদ্যান, জবইবিল, জগদ্দল বিহারসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে নওগাঁ ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে বিনোদনপ্রেমী লোকজন ছুটে এসেছেন। 

নওগাঁয় ঈদের দিন বিকেল থেকে আজও জননেতা আব্দুল জলিল শিশু পার্কে শিশু কিশোর ও অভিভাবকদের উপচেপড়া ভিড়। নওগাঁ শহরে শিশুদের খেলাধুলা ও বিনোদনের তেমন কোন সুযোগ না থাকায় সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী প্রয়াত জননেতা আব্দুল জলিলের উদ্দ্যোগে শহরের বাহিরে ২০১১ সালে আব্দুল জলিল চত্বর নামক স্থানে নওগাঁ শহরের পশ্চিম দিকে বাইপাস সড়কের পাশে।

শিশুদের বিনোদনমুখী “জননেতা আব্দুল শিশু পার্ক” নামে পরিচিত এ পার্ক গড়ে উঠে। ঈদের দিন বিকেল থেকে শুরু করে এখনো আব্দুল জলিল শিশু পার্কে শিশু ও দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। এ শিশু পার্কে আছে শিশুদের বিনোদনের জন্য সব ধরনের খেলার সমগ্রী ও জাদুঘর। এ পার্কের আয়তন কম হলেও ঢাকা শিশু পার্কের মানের অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। শিশুরা এখানে এসে অনেক আনন্দ ও বিনোদন উপভোগ করছে।

শুক্রবার বিকেলে নওগাঁর আব্দুল জলিল শিশুপার্কে গিয়ে দেখা যায়, টিকিট কাউন্টারের সামনে দর্শনার্থীরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটছেন। সেখানে কথা হয় কামরুন্নাহার আসমার সঙ্গে। তের বছরের মেয়ে ইরিন জামান কথা ও এগারো বছরের ছেলে আরিফুর রহমান কেতনকে নিয়ে এসেছেন তিনি। তিনি জানান, মেয়েদের বায়নার কাছে হার মেনেই শিশুপার্কে আসা। তিনি বলেন, ‘ওদের বাবা গেছেন টিকিট কাটতে। যে ভিড়, দেখা যাক ঢোকা যায় কি না।’

সকালে আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানে গিয়ে হাজারও মানুষকে পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। রংপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোতাহার হোসেন স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ এসেছেন আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানে। তাঁরা বলেন, অনেক দিন ধরেই ভাবছিলেন এখানে বেড়াতে আসবেন। কিন্তু এত দিন সময়-সুযোগের অভাবে আসতে পারেননি। এবার ঈদের ছুটিতে আলতাদীঘি এসেছেন। এখানকার ঘন শালবন ও বিশাল দিঘি দেখে তাঁরা মুগ্ধ।

মান্দার কুসুম্বা মসজিদ দেখতে এসেছিলেন কাজী রুহুল আমিন তার ছোট দুই ভাই কাজী রাকিব এবং কাজী রায়হানকে সাথে নিয়ে। তারা বলেন, ‘এত দিন ইন্টারনেট এবং বইয়ে প্রাচীন স্থাপনা কুসুম্বা মসজিদ সম্পর্কে পড়েছি। এবার পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে এই স্থাপনা দেখতে এসেছি। এখানে এসে স্থাপনাটির নির্মাণশৈলী ও বিভিন্ন কারুকাজ দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি।’