নওগাঁয় আম্পানে আমের ব্যাপক ক্ষতি


 রাজেকুল ইসলাম , রাণীনগর :

আমের নতুন রাজধানী বা উৎপানে শীর্ষে যাওয়া নওগাঁয় জেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আম চাষিদের দাবী, ঝড়ে আম গাছের প্রায় ৫০ শতাংশ আম ঝরে পড়েছে এবং ক্ষতির পরিমান প্রায় শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অফিস সূত্র বলছে, বুধবার রাত ১টার দিকে নওগাঁ জেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত হানে। বয়ে যাওয়া বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭০-৮০ কিলোমিটার।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর ২১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। ৪ হাজার ৮০০ আম চাষির প্রায় ৭ হাজার বাগান রয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৫ মেট্টিক টন। এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ মেট্টিক টন।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ৫০ শতাংশ, অর্থাৎ ১ লাখ ৮৫ হাজার মেট্টিক টন আম ঝরে পড়েছে। ভরা মৌসুমে আমের দাম ৪০ টাকা কেজি ধরলে এর দাম প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে ৬০ ভাগেরও বেশি আম উৎপাদন হয় পোরশা, সাপাহার ও পত্মীতলা উপজেলায়। সাপাহার উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আমচাষি সাইফুর বলেন, ৪০ বিঘা জমিতে চারটি বাগান রয়েছে। ঝড়ে বাগানের ৩ হাজার গাছের অর্ধেক আম পড়ে গেছে।

আরও পড়তে পারেন  গ্যারেজের মালিকের মেয়েকে অপহরণ : দুই রিকশাচালক কারাগারে

ঝরে পড়া ফেটে যাওয়া আম ২-৩ টাকা কেজির বেশি বিক্রি হবে না। সাপাহার উপজেলার উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, সাপাহারে ৮ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এমনিতেই বাগানগুলোতে আম কম ধরেছিল। তারপরও এই ঝড়ে অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।

ঝরে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনও নিরূপণ করা যায়নি, তবে কিছু বাগান পরিদর্শন করে ধারণা হচ্ছে, আম গাছের প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ আম পড়ে গেছে। জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে আম চাষিদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। ক্ষতির পরিমান নিরূপণের কাজ চলছে।

≡ দেখতে পারেন ≡


শর্টলিংকঃ