নওগাঁয় এক রাতে ৭টি সরকারী অফিসে চুরি


কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ:

নওগাঁর ধামুইরহাটে ব্যাংকসহ ৭টি সরকারী অফিসে দূধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। নগদ টাকা ও মুল্যবান কাগজপত্র তছনছ করেছে তারা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার গনপতি রায় ও ধামইরহাট থানা পুলিশ চুরি যাওয়া অফিসগুলো পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত  কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ১৪ জানুয়ারী দিবাগত রাতে উপজেলার আনসার ও ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, উপজেলা হিসাব রক্ষন অফিস, উপজেলা ভুমি অফিস, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিস, উপজেলা মৎস্য অফিস, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে মুখোশধারী চোরের দল অফিসগুলোর দরজার তালা ভেঙ্গে ও পিছনের জানালার গ্রিল এবং লোহার হ্যাজবোল্ড, ক্যাচিগেট কেটে ভেতরে প্রবেশ করে।

সিসিটিভি’র ফুটেজমতে ১৫ জানুয়ারী রাত ৩ টার দিকে চোরেরদল অফিস পাড়ার বিভিন্ন অফিসগুলোতে প্রবেশ করতে দেখা যায়। এতে উপজেলা মৎস্য অফিসারের কক্ষ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ও ভুমি অফিসের আলমিরা ভেঙ্গে সাড়ে ১০ হাজার টাকা ও বিভিন্ন অফিসের মুল্যবান কাগজপত্র চুরির খবর পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে ধামইরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধানগণ। ঘটনার পর থেকে প্রশাসন এলাকায় ব্যাপক নজরদারী ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

ইউএনও গনপতি রায় বলেন, ‘পাতালে থাকলেও যে কোন মুল্যে চোরের দলকে আটক করা হবে।” এ সময় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও অফিস প্রধানদের দায়িত্বরত নৈশ্যপ্রহরীদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও তাৎক্ষনিক সাসপেন্ডের নির্দেশ প্রদান করেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা সদরে বিভিন্ন সরকারী অফিসে বছরের পর বছর নৈশ্যপ্রহরীরা একাধারে চাকরী করায় তাদের স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতি বেড়ে গেছে, যে কারণে তারা সরকারী সম্পদ রক্ষার বিষয়ে উদাসীন। অতীতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও তথ্য আপা’র অফিস থেকে কম্পিউটার এবং একটিবাড়ী একটি খামারে অবস্থিত পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক থেকে নগদ টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে।

এতগুলো সরকারী অফিসে বেতনভুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী থাকা সত্বেও এমন দুর্র্ধষ চুরির ঘটনায় সুধী মহল উদ্বিগ্ন।

ধামুইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ শামিম হাসান সরদারের সরকারি সেলফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 


শর্টলিংকঃ