নওগাঁয় ড. জোহা দিবসে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা


নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ:

নওগাঁয় দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মুহম্মদ শামসুজ্জোহার ৫০তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় শহরের জেলা সমবায় চত্ত্বরে ‘একুশে উদযাপন পরিষদ, নওগাঁ’ এর আয়োজনে দিবসটি পালন করা হয়।

ড. জোহা দিবসে নওগাঁয় অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন

জেলা সমবায় চত্ত্বরে ড. জোহার অস্থায়ী স্মৃতিফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় তারা শহীদের আত্মার মাগরিফাত ও শান্তি কামান করে এক মিনিট নিরবতা পালন ও দোয়া মোনাজাত করেন। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

‘একুশে উদযাপন পরিষদ’ নওগাঁর আহ্বায়ক অধ্যাপক এসএম শওকত আলী সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নওগাঁ সরকারী বিএমসি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক হামিদুল হক। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ সরকারী কেডি স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাসমত আলী।

অন্যদের মধ্যে আরও বক্তৃতা করেন জাহাঙ্গীরপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল মজিদ, পরিষদের উপদেষ্টা জাহিদ রাব্বানী রশিদ, সদস্য সচিব আতিক রহমান প্রমূখ। এ সময় বক্তারা ড. শামসুজ্জোহা জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন। তারা সরকারের নিকট ১৮ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষনার দাবি জানান।

জানা যায়, ১৯৬৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। ওই বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। এ সময় পাকিস্তানি বাহিনী ছাত্রদের উপর গুলি চালানোর প্রস্তুতি নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ও তৎকালিন প্রক্টর ড. জোহা ছাত্রদের সামনে দাড়িয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে গুলি ছুঁড়তে নিষেধ করেন। তবে তারা জোহার বুকে গুলি চালায়। পরে শহরের মিউনিসিপ্যাল অফিসে নিয়ে বেয়োনেট খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।


শর্টলিংকঃ