নওগাঁয় মুফতি কর্তৃক ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষিত


নিজস্ব প্রতিবেদক,নওগাঁ: 

নওগাঁয় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার পর অন্যত্র বিয়ের চেষ্টায় বাধা দেয়ায় মেয়ের পরিবারের সদস্যদের মারপিট করে মারাত্মক আহত করা হয়েছে। ঘটনাটি সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে সংঘটিত হয়েছে।

repe in bangladesh

এ ব্যাপারে নওগাঁ সদর থানায় মারপিটের মামলা নিলেও ধর্ষণ মামলা নিতে অস্বীকার করায় নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি রহিদুল ইসলামের ছেলে মুফতি মওলানা মোঃ সেতু (২৫) একই গ্রামের দিনমজুর মাসুদ রানার মেয়ে মাতাসাগর মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী মোছাঃ মিথিলা (১৫) এর সাথে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।

গত ২আগষ্ট’ প্রেমের সূত্র ধরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে সেতু কৌশলে মিথিলাকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে আবারো বিয়ে করবে আশ্বাস দিয়ে ধর্ষন করে। সেই থেকে বেশ কয়েকবার তারা শারীরিক ভাবে মিলিত হয়। কিন্তু হঠাৎ করে গত ১৪আগষ্ট মুফতি মওলানা সেতু তার পরিবারের লোকজনের সাথে বিয়ে করতে অন্যত্র গমন করার সময় মিথিলার পরিবারের লোকজন জানতে পেরে তাদের বিয়েতে বাধা দেয়। এ সময় তারা সংগঠিত হয়ে মিথিলা, তার বাবা, ফুফুসহ সকলকে লাঠি সোটা ইত্যাদি নিয়ে হামলা চালায়। এতে মিথিলার বাবা, ফুফসহ বেশ কয়েকজন মারাত্মক আহত হয়।

এ ব্যপারে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ নানা রকম টাল বাহানা করে মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। দীর্ঘদিন থানায় মামলা দায়ের করার জন্য ঘুরে ঘুরে অবশেষে গত ২৫ আগষ্ট মারপিটের (মামলা নং ৫২) একটি মামলা নিলেও ধর্ষন মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। তাই বাধ্য হয়ে মিথিলার ফুফু বাদী হয়ে ২সেপ্টেম্বর’২০২০ নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং ৩৭৪।

মেয়ের বাবা দিনমজুর মাসুদ রানা বলেন, আমাদের সবার অজান্তে সেতু আমার মেয়েকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে ধর্ষন করে যে সর্বনাশ করেছে তার আমরা দৃষ্টান্তর মূলক শাস্তি চাই। সেতু আর কারো মেয়ের যেন এমন সর্বনাশ করতে না পারে তাই উল্লেখ্যযোগ্য শাস্তি দেওয়ার জন্য মামলা করেছি। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন তো টাকা পেলে সবই উল্টে দেয়।

মুফতি মওলানা সেতুর বাবা রহিদুল ইসলাম বলেন, থানায় মামলা দায়ের করার আগে অনেক বার তাদের বিয়ের প্রস্তাব দিলেও তারা মামলা দায়ের করেছেন। মামলাতে আমার বা আমার ছেলের কি করতে পারে সেটা দেখবো আইনে যে শাস্তি হবে সেটা আমরা মেনে নিবো।

নওগাঁ পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নন মিয়া বিপিএম বলেন, মামলা নাম্বার পেলে প্রয়োজনীয় আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


শর্টলিংকঃ