নওগাঁ পৌর নির্বাচনে আঃলীগ মনোনীত প্রার্থী হতে চান মামুন


নিজস্ব প্রতিবেদক:

গত ২৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন প্রেস বিজ্ঞপ্তির মধ্যমে জানিয়েছেন মেয়াদ উত্তীর্ণ পৌরসভার ভোট গ্রহণ আইন অনুযায়ী যথা সময়ে করা হবে। করোনার কারনে নির্বাচন পেছানোর কোন সুযোগ নাই।ধারনা করা হচ্ছে মেয়াদ হওয়ার পুর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনে বাধ্যবাধকতা মেনে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে তফসিল ও জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

ইতোমধ্যে পৌর এলাকায় নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। জমে উঠেছে নওগাঁ পৌর নির্বাচনের প্রচার-প্রচারনা। নওগাঁ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে অন্যতম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা বর্তমান নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শফিকুর রহমান মামুন।তিনি মাঠে-ময়দানে আগাম প্রচার-প্রচারনা করে ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়, উঠান বৈঠক, বিভিন্ন পেশা জীবি মানুষের সাথে মত বিনিময় ও সুধী সমাবেশ শুরু করছেন। দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন সমাজ সেবামুলক কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

পৌর নির্বাচনের অভিপ্রায়ে পৌরবাসীর উদ্যেশ্যে তার প্রেরিত বার্তা “একটা পরিবর্তন, বদলে দেবে আপনার শহর ” – সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে ব্যাপক সমাদৃত ও গৃহীত হয়।নওগাঁয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবীতে প্রথম উদ্যোগ ও জনমত গঠন, করোনাকালীন দুর্যোগে রাতের আধারে নীরবে খাদ্য সহায়তা, অমানবিক সুদ ব্যাবসার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন, নওগাঁ শহরের টমটম-অটোরিক্সা হতে উত্তেলিত অবৈধ চাঁদা বন্ধ, মানবতার দেয়াল স্থাপন, ব্যাক্তিগত উদ্যোগে ধারাবাহিকভাবে মশক নিধন সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের কারণে সর্বসাধারণের কাছে একটা ইতিবাচক অবস্থান তৈরি করেছেন এই মেয়র প্রার্থী।

তার পিতা এ্যাড: মরহুম বজলুর রহমান ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও রাজনীতিক। নওগাঁ জেলা কৃষক লীগের আহবায়ক থাকাকালীন সময়ে তিনি মৃত্যুবরন করেন। নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ঢাকা ইম্পিরিয়াল কলেজ থেকে এইচএসসি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ, এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করেন তিনি। বহুজাতিক কোম্পানির লোভনীয় ও আরামদায়ক চাকুরী ছেড়ে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পৌরবাসীর সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

১৯৯২ সালে ছাত্রলীগের স্কুল কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে ছাত্র রাজনীতিতে পদার্পণ করেন এবং সর্বশেষ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নওগাঁর বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনের প্রবক্তা এই তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর জামাত শিবিরের মৃত্যু পরোয়ানা উপেক্ষা করে স্থবির হয়ে যাওয়া ছাত্রলীগকে পুনর্গঠন ও গতিশীল করতে অসামান্য অবদান রাখেন তিনি। ২০০৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্টার জামাতের আমীর মোস্তফা হত্যার ২ নং আসামি করে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয় তাকে।১/১১ এর পর নেত্রীর কারামুক্তির আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল নেতৃত্বে ছিলেন তিনি।

শফিকুর রহমান মামুন বলেন, পরপর তিন বার আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পরাজয় বিশ্লেষণ করে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করার চেষ্টা করেছি। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, শিক্ষিত ও পরিচ্ছন্ন তরুণ নেতৃত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন সেই বিবেচনায় আমি শতভাগ আশাবাদী পৌর আসন পুনুরুদ্ধারে দল আমাকে মনোনয়ন দিবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল থেকে আজীবন মানুষের সেবা করে যেতে চাই এবং মেয়র নির্বাচিত হলে নওগাঁকে একটি পরিকল্পিত, পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও সবুজ নগর হিসাবে গড়ে তুলতে চাই।


শর্টলিংকঃ