- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

নওহাটা পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে নারী কাউন্সিলরের অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম এবং বিল আটকানোর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে রাজশাহী জেলা প্রসাশক আব্দুল জলিলের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্যানেল মেয়র-৩ ও ১ নং জোনের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর তাজমা ইসলাম পারুল।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নওহাটা পৌরসভার ১ নং জোনের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-৩ তাজমা ইসলাম পারুল ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত তাকে বিভিন্ন সুুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছেন। এছাড়াও পৌর মেয়র মকবুল হোসেন তাকে ভিজিএফের চাল থেকেও বঞ্চিত করেছিলেন। পরবর্তীতে করোনাকালে পৌরসভার একটি মিটিং এ স্থানীয় সাংসদ আয়েন উদ্দিন সমস্যার বিষয়টি শুনে প্যানেল মেয়র পারুলকে ১ নং ওর্য়াডের সভাপতি বানান।

এদিকে, ১ নং ওর্য়াডের কাউন্সিলর প্রায় দুই বছর অসুস্থ থাকায় প্যানেল মেয়র পারুলকে অত্র ওয়ার্ডে সম্পূর্ণ দায়িত্ব দেন। কিন্তু প্যানেল মেয়রকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও পৌর মেয়র তা মানতে নারাজ। এসময় তিনি ওই প্যানেল মেয়রকে অত্র ওয়ার্ডে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বাধা প্রদান করেন।

অন্যদিকে, প্যানেল মেয়র পারুল টেন্ডার কমিটির সদস্য হওয়ার পরও প্রকৌশলী এবং সহকারি প্রকৌশলীর কাছে বিভিন্ন কাজের তথ্য চাইলে তারা দেন না। পৌর মেয়র বিভিন্ন কাজ ওপেন টেন্ডার ছাড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং ওপেন টেন্ডার ছাড়াই পানির পাম্প বসিয়েছেন। এছাড়াও অনেক রাস্তা ও ড্রেন করেছেন তিনি পাশাপাশি অনেক কাজের বিল কাজের চেয়ে দ্বিগুণ তুলেছেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ্য করা হয়েছে, প্যানেল মেয়র পারুলের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারে রাবিশ ফেললেও দীর্ঘ দেড় মাস ধরে মেয়র ওই বিলটি আটকিয়ে রেখেছে।

অভিযোগকারী প্যানেল মেয়র পারুল বলেন, পৌর মেয়র নারীদের খুব ছোট চোখে দেখেন। তার কাছে কোন জনগণের জন্য পাওয়া বরাদ্দ চাইতে গেলে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও ডিসির কাছে যেতে বলেন। সর্বশেষ আমি বাধ্য হয়ে ডিসি সাহেবের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র মকবুল হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। প্রয়োজনে আমি অন্য কাউন্সিলরদের কাছে খোঁজ নেন সত্যতা জানতে পারবেন।

তিনি বলেন, আমাকে অভিযোগ প্রসঙ্গে জবাব চাওয়া হয়েছিলো। এরইমধ্যে ডিসি বরাবর আমি অভিযোগের উত্তর লিখিত আকারে পাঠিয়ে দিয়েছি।