নদী থেকে মাটি কাটার মহোৎসব : নজর নেই প্রশাসনের


ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি :

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়া গুমাণী নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। এভাবে মাটি কাটা হলে নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের বড় ধরণের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে এই মাটি কাটার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় জনমনে নানা প্রশ্ন ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নদী থেকে মাটি কাটার মহোৎসব

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের রূপসি, সিংগাড়ী, ঝবঝবিয়া ও ভাঙ্গাজোলা গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়া গুমাণী নদী থেকে মাটি কেটে ট্রলারসহ ইঞ্জিন চালিত টলি যোগে এলাকার বিভিন্ন ইটের ভাটাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কমর্রত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এইখানে প্রায় দুই মাস ধরে মাটি কাটার কাজ চলছে। তারা প্রতিদিন সকাল থেকে এই মাটি কাটার কাজ শুরু করেন, চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

এলাকাবাসিরা জানান, এই মওসুমে নদী বক্ষের অনেকাংশে পলি জমে পানি শূন্য হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার একটি চক্র নদী থেকে মাটি কাটার কাজ শুরু করে। এলাকাবাসির অভিযোগ, নদীর কাঁদা-মাটি, কাঁচা-পাকা সড়কের ওপর দিয়ে বহন করার ফলে সড়কগুলো কাঁদামাটিতে পরিণত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে অনেক সময় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।

নদী থেকে মাটি কাটার মহোৎসব

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, উপজেলার এক শ্রেণীর মাটির ব্যবসায়ী কতিপয় ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের যোগসাজশে নদীর ধারে গভীর গর্ত করে মাটি কাটা হচ্ছে। আবার সেই মাটি বেশি দামে উপজেলার বিভিন্ন ইট ভাঁটাতে বিক্রি করছে তারা।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, নদীর পাশ থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তদন্ত করে বিষয়টির সত্যতা পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


শর্টলিংকঃ