Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

নদী বাচাঁতে সাইফুন ব্যাবস্থার দাবী ইবি রিভারাইন পিপল’র


ইবি প্রতিনিধি:
নদী বাঁচাতে সাইফুন পদ্ধতির ব্যাবস্থা করা ও সকল নদীর উৎসমুখ খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে রিভারাইন পিপল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ইউনিট। বুধবার দুপুর ৩ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস কর্নারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানান তারা।

“ গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) প্রকল্প অঞ্চলের নদী সুরক্ষা বিষয়ক” বিষয়ক এই সংবাদ সম্মেলনে রিভারাইন পিপল এর কেন্দ্রীয় পরিচালক পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন রাসেল তার লিখিত প্রবন্ধে বলেন, ‘সরকারের পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক চালিত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জিকে সেচ প্রকল্পের পাম্প হাউজটি গঙ্গা নদীর ডান তীরে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলায় স্থাপিত। এই সেচ ব্যবস্থায় গঙ্গা নদী থেকে পাম্পের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করে আওতাধীন এলাকায় কৃত্রিম ক্যানেলও জালের মতো ছড়িয়ে দেয়ার পর থেকে নদ-নদীর অচলবস্থা সুষ্টি হয়েছে।

জিকে প্রকল্পের এই ক্যানেলের যেখানেই নদীর সঙ্গে দেখা হয়েছে সেখানেই নদীটি তার উৎসমুখ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সরকার চাষাবাদ ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য হাতে নেয়া প্রকল্প গুলো এখন গলার কাটা হয়ে গেছে। এসকল প্রকল্প নদীর উৎসমুখ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। তাই নদী বাঁচাতে নদীর উৎসমুখ খুলে দিতে হবে।’ এছাড়া নদীর দ্বৈত প্রবাহ সৃষ্টি করে সাইফুন ব্যবস্থা চালুর দাবী জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা দাবী করেন, কুষ্টিয়া অঞ্চলের কালীগঙ্গা, ডাকুয়া, হিসনা, সাগরখালী, চন্দনা, মাথাভাঙ্গা এবং কুমার নদীসহ বাংলাদেশের প্রায়ই অঞ্চলের নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। তবে এ অঞ্চলের নদীর অবস্থা আরও বেশি ভয়ংকর ও ভিন্ন। বিভিন্ন নদী দখল, পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন, বাজার সম্প্রসারনের কারনে হুমকির মুখে পড়েছে। বক্তরা আরও বলেন, সরকারকে পাকিস্থান আমলের ভুল ধারনা ও নদী শাসন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। একইসাথে সাম্প্রতি চলা সরকারের গতানুগতিক নদী দখল বিরোধী অভিযানে বিশেষত এ অঞ্চলের নদী রক্ষা পাবে না। তাই এদিকে জোর দিতে আহ্বান করেন বক্তরা।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির ইবি ইউনিটের আহ্বায়ক ও বাংলা বিভাগের প্রফেসর রবিউল হোসনের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করনে রিভারাইন পিপল এর কেন্দ্রীয় পরিচালক পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন রাসেল। এসময় সংগঠনের উপদেষ্টা অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. আব্দুল মুঈদ, সদস্য সচিব ওবাইদুল হক, কুমার নদ (কুষ্টিয়া) সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ মারুফ উপস্থিত ছিলেন।


Exit mobile version