নমুনা পরীক্ষার ফল ১৬ দিনেও মেলেনি , অত:পর


ইউএনভি ডেস্ক:
চট্টগ্রামে ১৬ দিনে নমুনার ফলাফল না পেলেও করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন ফিলিপাইনের নাগরিক রুয়েল এস্ত্রেলা কাতান (৫৩)। শুক্রবার রাতে জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ফিলিপাইনের নাগরিক গত ৮ বছর ধরে কাজের সূত্রে চট্টগ্রামে ছিলেন।

নমুনা পরীক্ষার ফল ১৬ দিনেও মেলেনি , অত:পর

তবে তার পরিবার ফিলিপাইনেই থাকতো। চট্টগ্রামস্থ ফিলিপাইন কন্স্যুলেট জেনারেলের চীফ অফ স্টাফ শেখ হাবিবুর রহমান জানান, চলতি জুন মাসের শুরু থেকে রুয়েল এস্ত্রেলা কাতান জ্বরও এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। এর মাঝে তাকে নগরীর কয়েকটি ক্লিনিকে ভর্তির চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু করোনার উপসর্গ থাকায় তাকে প্রাইভেট কোনো ক্লিনিক ভর্তি করাতে রাজি হয়নি।

পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৩ জুন তার করোনার নমুনা নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই নমুনার কোনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। ফিলিপাইনের এই নাগরিক গত ছয় বছরের বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল অপারেটর প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ার টেকের শিপ প্ল্যানার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তার বাসা ছিলো নগরীর হালিশহর এলাকায়।
সাইফ পাওয়ার টেকের সিনিয়র এডমিন ম্যানেজার রেজাউল করিম সময় সংবাদকে বলেন, অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুর সংবাদ শুনে আমরা মেডিকেলে গিয়ে এস্ত্রেলা কাতানের মরদেহ বুঝে নিয়েছি। আমাদের প্রতিষ্ঠান তার চিকিৎসার সব ধরণের ব্যবস্থা নিয়েছিল। কিন্তু তার কোনো কিছুই কাজে আসলো না। এখন পরিবারের সাথে আলাপ করেই ফিলিপাইনের এই নাগরিকের লাশের সৎকারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যদি তার পরিবার চায় তাহলে হয়তো আমরা মরদেহ ফিলিপাইনে পাঠানোর চেষ্টা করবো। চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়লেও নমুনা পরীক্ষা নিয়ে মারাত্মক জট সৃষ্টি হয়েছে। নমুনা দেয়ার ১০ দিনেও ফলাফল পাচ্ছে না রোগীরা। এমনকি ৩ হাজার নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়নি।


শর্টলিংকঃ