নাটোরের বড়াইগ্রামে তিন দিনে তিন খুন, আতঙ্ক


নিজস্ব প্রতিবদেক, নাটোর:

নাটোরের বড়াইগ্রামে গত তিন দিনে তিনটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় উপজেলাজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন উপজেলাবাসী। তবে পুলিশ বলছে- ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার (০৬ এপিল) দিবাগত রাতে উপজেলার আহমেদপুর কারবালা এলাকায় দুর্বৃত্তরা রামু চন্দ্র দাস (৩৭) নামে এক ইজিবাইক (অটোরিক্স্রা) চালককে ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে তার ইজিবাইকটি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

এর আগের দিন শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কুজাইল গ্রামে এনার্জি ড্রিংকসের সাথে বিষ মিশিয়ে গৃহবধূ নার্গিস বেগম (২৩)কে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে। আর বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার নগর কয়েনবাজার এলাকায় সত্তোরোর্ধ অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

বড়াইগ্রাম থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক আবু হানিফ জানান, ইলেকট্রিক পণ্য বিক্রেতা অসীম কুমার হাওলাদার রামুর ইজিবাইকে ঘুরে ঘুরে পণ্য বিক্রি করতো। শনিবার সারাদিন বনপাড়া হাটে পণ্য বিক্রি শেষে রাতে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথিমধ্যে ৪/৫ জন দুর্বৃত্ত তাদের ইজিবাইক গতিরোধ করে টাকা ছিনতাই করার চেষ্টা করে।

এ সময় রামু বাঁধা দিতে এলে দুর্বৃত্তরা তাকে উপর্যুপরী ছুরিকাঘাত করে মারাত্নক জখম করে এবং অসীমের হাত-পা বেঁধে সড়কের পাশে ফেলে রেখে পণ্য বিক্রির প্রায় ৭০ হাজার টাকাসহ ইজিবাইক নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।

পরে পেছন দিক থেকে আসা কযেকজন ভ্যান চালক তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়ার পথে রামুর মৃত্যু হয়। সে নাটোর সদর উপজেলার মল্লিকহাটি এলাকার বাবুল চন্দ্র দাসের ছেলে।

উপজেলার কুজাইল গ্রামের আব্দুল কাদের জানান, দাম্পত্য কলহের জের ধরে শুক্রবার সকালে তার মেয়ে গৃহবধূ নার্গিস বেগমকে এনার্জি ড্রিংকসের সাথে বিষ মিশিয়ে হত্যা করে জামাতা শামীম হোসেন। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং ঘটনার পর থেকে শামীম পলাতক রয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার নগর কয়েনবাজার এলাকার পাবনা-নাটোর মহাসড়কের পাশে সত্তোরোর্ধ অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা দিলীপ কুমার দাস ঘটনা গুলোর সত্যতা স্বীকার করে জানান, নাগরিকের নিরাপত্তায় পুলিশ সর্বদাই সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। সব ঘটনাতেই দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।


শর্টলিংকঃ