Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

নাটোরে ঝড়ে শিশু নিহত, ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি


নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর:

নাটোরে প্রচন্ড ঝড়ে সার্থী খাতুন (৭) এক শিশু নিহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ অন্তত ২০টি বাড়ি। এছাড়া গাছপালা ভেঙে পড়ায় অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। উত্তরা গণভবনের সামনে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ লাইনের তার ছিড়ে গিয়ে বেশ কয়েকটি গ্রাম বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নাটোরের নলডাঙ্গা, গুরুদাসপুর সহ বিভিন্ন উপজেলার ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়। এসময় গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর এলাকার মজনু মিয়ার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সাথী খতুন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল।

এসময় ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙ্গে তার মাথা পড়লে ঘটনাস্থলেই সাথী খাতুন মারা যায়। এছাড়া ঝড়ে নলডাঙ্গা উপজেলায় অন্তত ২০টি বাড়ির টিনে চালা উড়ে গেছে। বড় বড় গাছ বাড়ির ওপর উপরে পড়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ঝড়ে বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

তবে কখন নাগাদ বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে সে বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেনি নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার সোহরাব হোসেন। তবে বৈদ্যুতিক লাইন স্বাভাবিক করতে মাঠে কাজ চলছে।

অপরদিকে, দিঘাপতিয়া গণভবনের সামনে মরা গাছ পড়ে বিদ্যুৎ লাইনের তার ছিড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া রাস্তার উপরে গাছ পড়ে যাওয়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঝড়ে সু- প্রাচীন একটি পাম্প গাছ গোড়া ভেঙে বিদ্যুৎ লাইনের উপর ও পরে রাস্তার উপর পড়ে । এতে বিদ্যুৎ লাইনের তার ছিড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এতে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হলে স্থানীয়রা গাছটি রাস্তা থেকে অপসারণ করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এদিকে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উত্তরা গণভবন সহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেকক্টরেট অনিন্দ্য মন্ডল বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে আর গাছের ব্যাপারে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।


Exit mobile version