নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ : দগ্ধ-আহতের প্রচুর রক্তের প্রয়োজন


ইউএনভি ডেস্ক :

নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৪০ জন মুসল্লি দগ্ধ হয়েছেন। এই ঘটনায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। এতে আহত হয়েছেন অনেকে। দগ্ধ ও আহত অনেককেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ : দগ্ধ-আহতের প্রচুর রক্তের প্রয়োজননারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ : দগ্ধ-আহতের প্রচুর রক্তের প্রয়োজন

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক হোসাইন ইমাম জানিয়েছেন, আহতদের জন্য প্রচুর রক্তের প্রয়োজন। যারা রক্ত দিতে ইচ্চুক তাদের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন তিনি।

জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মসজিদের সামনের বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ৬টি এসিও বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে মসজিদের ভেতরে। ওই সময় মসজিদে থাকা মুসল্লিদের গায়ে আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়লে একে একে দগ্ধ হতে থাকেন। লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় মসজিদের ভেতরের মিম্বরসহ সবকিছু।

আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়লে মুসল্লিরা দগ্ধ হতে থাকেন। দগ্ধ হন মসজিদের ইমাম মালেক আনসারী (৬৫) ও মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৫), ফটো সাংবাদিক নাদিম হোসেনসহ (৪২) ৩৭ জন। আহতদের প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানান, মসজিদ বন্ধ থাকা অবস্থায় ভেতরে গ্যাস পাইপ লাইনে লিকেজ হয়। এতে পুরো মসজিদ কক্ষ গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়। এরপরই এসির বিস্ফোরণ ঘটে। আর সঙ্গে সঙ্গে গ্যাসের এমন অবস্থা থাকায় বিস্ফরণের মাত্রা তীব্র হয়।


শর্টলিংকঃ