‘নাশকতায় জড়িতদের মামুনুল হক নিজেই শনাক্ত করেছেন’


ইউএনভি ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের নাশকতায় যারা জড়িত ছিলেন, ভিডিওচিত্র দেখে মামুনুল হক নিজেই তাদের শনাক্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন পিবিআই পুলিশ সুপার মনিরুল হক।রোববার বিকালে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ পিবিআই পুলিশ সুপার মনিরুল হক।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, বিভিন্ন ধর্মীয় রাজনৈতিক সংগঠনের উগ্রবাদী নেতারা হেফাজত ইসলামে এসে একটা প্লাটফর্ম তৈরি করেছিলেন। তারা রাজনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে ফায়দা লুটার জন্য কাজ করেছেন। তাদের মাধ্যমেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মামুনুল হকের যে উচ্চাভিলাস ছিল সেটা আমাদের তদন্তে প্রতীয়মান হয়েছে। তারপরও এসব বিষয় আরও বিস্তারিত দেখে শুনে তদন্ত করব।

তিনি বলেন, ঝর্নাকে বিয়ের বিষয়ে মামুনুল হক কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। মামুনুল হকের সঙ্গে দেশি বিদেশী জঙ্গিবাদের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তা সহ সব বিষয় আমরা তদন্ত করে দেখছি। এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।

এ সময় পিবিআই পুলিশ সুপার মনিরুল বলেন, হেফাজতের ডাকা হরতালের তিনদিন আগে ২৫ মার্চ তারিখে মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জে আসেন। এখানের যে মহাসচিব আছেন তাদের উৎসাহিত করার জন্যই তিনি এসেছিলেন। এরপর তিনি ৩১ মার্চও নারায়ণগঞ্জে এসেছিলেন।

তিনি বলেন, মামুনুল হক দোষ স্বীকার করে ১৬৪ এ জবানবন্দি হয়তো দেননি। কিন্তু তার সহযোগী যারা আছে তাদের মধ্যে একজন দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। উনি দায় স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের নাশকতায় মামুনুল হক এবং হেফাজত নেতা বশিরুল্লাহসহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ জড়িত ছিল। এছাড়া আমাদের কাছে সাইনবোর্ডের যে ভিডিওচিত্র ছিল তা মামুনুল হককে দেখিয়েছি, সেখানে যারা ছিল মামুনুল হক নিজেই তাদের শনাক্ত করেছেন।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের পৃথক ছয় মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার বেলা ১১টায় আদালতের মাধ্যমে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ছয় মামলার মধ্যে ঝর্নার দায়ের করা ধর্ষণসহ তিনটির তদন্ত করেছে জেলা পুলিশ, দুটি করেছে সিআইডি এবং একটি করেছে পিবিআই।


শর্টলিংকঃ