নিজের এলাকায় শুটিংয়ে জ্যোতি


ইউএনভি ডেস্ক:

‘শুটিং শুরু করলাম। সিনেমার নাম “লাল মোরগের ঝুঁটি।” ফেসবুকে এভাবেই নতুন সিনেমার শুটিংয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। বহু বছর ঝুলে থাকা ছবিটি আবার শুরু করেছেন পরিচালক। নতুন উদ্যোমে সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন একে একে শিল্পী ও কলাকুশলীরা।

বাংলাদেশ সরকারের অনুদান পাওয়া ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করছেন নুরুল আলম আতিক। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এক মফস্বল এলাকার মানুষের গল্প নিয়ে সিনেমার কাহিনি। ফেসবুকে জ্যোতি লিখেছেন, ‘আমি চলচ্চিত্রটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছি।

চরিত্রের নাম “দীপালি সাহা”। অসংখ্য তারকা, কো–আর্টিস্টসহ গল্পে আমার হিরো দীপক সুমন।’ শুটিং সেট থেকে জ্যোতি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন ক্যাম্পে আছি। কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হবে শুটিং। বৃষ্টির কারণে বারবার শুটিংয়ের পরিকল্পনা বদলাতে হচ্ছে।’

২০১৬ সালে এ ছবিটির কিছু অংশের শুটিং হয়েছিল। তখনো শুটিংয়ে যোগ দিয়েছিলেন জ্যোতি। ১ অক্টোবর থেকে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে আবার শুরু হয়েছে ছবির শুটিং। জ্যোতি জানান, গৌরীপুর তাঁর নিজের উপজেলা। তিনি বলেন, ‘মজার ব্যাপার হলো এই প্রথম আমি আমার এলাকায় শুটিং করছি।’

‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’ ছবির পর বিরতি শেষে জ্যোতি যোগ দিলেন কাজে। এর আগে কলকাতার নায়ক ঋত্বিকের সঙ্গে ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। পরিচালক সূত্রে জানা গেছে, এ বছরেই মুক্তির কথা রয়েছে ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’। ছবিতে নারী চরিত্রে আরও অভিনয় করছেন আশনা হাবিব ভাবনা ও দিলরুবা দোয়েল।

করোনাকালীন অবসরে কৃষিকাজে যুক্ত হয়েছেন জ্যোতি। দুই বছর ধরে এই সাধ পুষে রেখেছিলেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি এখন তিনি অ্যাগ্রো ফার্মের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চান। তাঁর খামারের নাম ‘খনার বচন’। দুই মাস ধরে তিনি নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। একটি দক্ষ কর্মীদল গড়ে উর্বর জমি তৈরি করেছেন।

এ কাজের জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন গ্রামের সেই সব মেধাবী তরুণদের, যাঁরা ডুবে আছেন ভার্চ্যুয়াল জগতে। এ প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেছিলেন, ‘ভাবছিলাম যান্ত্রিকতার বাইরে কী করা যায়, তা নিয়ে নিজের মতো করে একটু পড়াশোনা আর রিসার্চ করলাম। বিষণ্ন না হয়ে দ্রুত মাঠে নামলাম।’

তাঁর খামারে কেউ কর্মী হিসেবে কাজ করবে না; বরং সবাইকে উদ্যোক্তা হিসেবে উৎসাহিত করতে তিনি সহকর্মীদের অংশীদার হিসেবে যুক্ত করেছেন। এ কাজে যিনি যে বিষয়ে আগ্রহী ও দক্ষ, তাঁকে সে কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন। এ উদ্যোগকে অনেক তরুণের অভিভাবক ‘লস প্রজেক্ট’ ভাবছেন। যে কারণে এ পেশায় সন্তানদের কাজে যুক্ত হওয়া নিয়েও অনেকেই দ্বিধায় আছেন। অনেক অভিভাবক চান না সন্তানেরা কৃষিকাজে যুক্ত হোক। সেসব দুশ্চিন্তাকে উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কৃষিকাজকেই লাভ এবং সম্মানজনক পেশা মনে করে সামনে এগোতে চান এই অভিনেত্রী।


শর্টলিংকঃ