নির্যাতিত নারীর মামলা না নেয়ায় দূর্গাপুরের ওসি স্ট্যান্ডরিলিজ


রবিউল ইসলাম রবি, দূর্গাপুর :

রাজশাহীর দুর্গাপুরে নির্যাতিত অন্তঃসত্বা নারীর মামলা না নেয়ার ঘটনায় ওসি আব্দুল মোতালেবকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়েছে। বুধবার তাকে জেলা পুলিশ লাইনে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়। এঘটনায় তার কোনো গাফিলতির প্রমাণ মেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।

ওসি আব্দুল মোতালেব

এর আগে অন্তসত্ত্বা নারীকে নির্যাতন ও নবজাতক হত্যার ঘটনায় মামলা না নেয়ার অভিযোগ উঠলে ওসি আব্দুল মোতালেবকে থানা থেকে প্রত্যাহারের আদেশ জারি করে ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে তাকে পুলিশ লাইনে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু উল্লেখিত সময়ের মধ্যে পুলিশ লাইনে হাজির না হওয়ায় ১৭ জুলাই সকালে পুনরায় তাকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়েছে। জেলা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশের ওই সুত্রটি জানায়, দুর্গাপুর উপজেলার মহিপাড়া গ্রামের শিমু ইয়াসমিন লিপি নামের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে শারীরিক নির্যাতন করেন ওই তার দুবাই প্রবাসী স্বামী সোহেল রানা। পরে ওই নারীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। সেখানে অপারেশনের মাধ্যমে ওই নারীর পেট থেকে প্রায় চার মাস বয়সী মৃত নবজাতককে বের করা হয়। এ ঘটনায় গত ২ জুলাই ভিকটিম নারী থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানার ওসি আব্দুল মোতালেব মামলা না নিয়ে অভিযোগটি এএসআই আজাদকে তদন্তের দায়িত্ব দেন।

গত ১০ জুলাই থানায় এ ব্যাপারে সালিশি বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে  মীমাংসার জন্য নারীকে মানসিকভাবে চাপ দেন ওসি আব্দুল মোতালেব ও এএসআই আজাদ। এরই মধ্যে  তার স্বামী সোহেল রানা দেশ ত্যাগ করে পুনরায় দুবাই চলে যায়।

পরে বিষয়টি জানতে পেরে জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ওসি অঅব্দুল মোতালেবকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। এবিষয়ে রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান ইউনির্ভাসাল২৪নিউজকে জানান,   নির্যাতিতা ওই নারী থানায় অভিযোগ করার পর ওসি মোতালেব সংসার টিকিয়ে রাখার কথা বিবেচনা করে মামলা নেন নি। পরে তা পারিবারিকভাবে মীমংসার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এঘটনায় ওসির কোনো গাফিলতি আছে কি না তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।


শর্টলিংকঃ