নুরের তিন সহযোগী রিমান্ডে


ইউএনভি ডেস্ক:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে লালবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের তিন নেতার দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


এর আগে একই মামলায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।  এ তিনজন হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম ও নাজমুল হাসান সোহাগ এবং সংগঠনের ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা।এর আগে এ তিন আসামির পাঁচদিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। গত ১৫ অক্টোবর সাইফুল ও নাজমুল হুদার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত। আর ৯ নভেম্বর সোহাগকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ১১ অক্টোবর দিনগত রাতে রাজধানীর মগবাজার ও আজিমপুরে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত নাজমুল ও সাইফুলকে গ্রেফতার করে ডিবি। এরপর গত ৪ নভেম্বর বংশাল থানাধীন রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে নাজমুল হাসান সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের কোতোয়ালি থানায় একই বাদীর অন্য মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় ভিপি নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন।

এ মামলার প্রধান আসামি ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক (সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত) হাসান আল মামুন। নুর একই সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক। বাকি চার আসামি নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা এবং আবদুল্লাহ হিল বাকী। তারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। এর মধ্যে হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।


শর্টলিংকঃ