নড়াইলে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা


ইউএনভি ডেস্ক:

নড়াইলের কালিয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কাইউম শিকদার (৪৫) নামে এক ইউপি সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় কৃষকলীগ নেতাসহ তিনজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। আহতদেরকে প্রথমে কালিয়ায়, পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কালিয়া-গোপালগঞ্জ সড়কের কালিনগর নামক স্থানে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কাইউম শিকদার উপজেলার বিলাফর গ্রামের হাসমত আলী শিকদারের ছেলে।

আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশের সাড়াশি অভিযান চলছে। ঘটনা স্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সবুর মোল্যা-সবুর ফকির গ্রুপ এবং একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কাইউম শিকদার গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চলে আসছিল।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাইউম শিকদার ও উপজেলার নড়াগাতি থানা কৃষক লীগের সভাপতি মোল্যা আবুল হাসনাতসহ ৪ জন নেতাকর্মী ২টি মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিল। কালিনগর নামক স্থানে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা পথরোধ করে কাইয়ূম সিকদারসহ চারজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এর মধ্যে কাইয়ূম সিকদারকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া উপজেলার নড়াগাতী থানার কৃষকলীগের সভাপতি মোল্যা আবুল হাসনাত (৩৮), মতিয়ার মল্লিক (৪০) ও সজীব মল্লিককে (৩০) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে আবুল হাসনাত মোল্যার অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন তার স্বজন ও চিকিৎসকেরা।

উল্লেখ্য,এ দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গতবছর সবুর মোল্যা-সবুর ফকির গ্রুপের কটাই নামে একজন নিহত হয়েছিলেন। উপজেলার নড়াগাতি থানার ওসি রোকসানা খাতুন বলেন, খুনীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ ব্যাপারে নড়াইলের সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়া অঞ্চল) রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়তে পারেন  রাজশাহীতে ইমামের পক্ষে-বিপক্ষ নিয়ে গোলাগুলিতে আহত ৬


শর্টলিংকঃ