পদোন্নতি ছাড়াই অবসরে যাচ্ছেন ৭০ ভাগ কর্মচারী


ইউএনভি ডেস্ক:

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক সুশীল কুমার সরকার। সরকারি চাকরিতে ঢুকেছেন ১৯৮৮ সালের ৬ নভেম্বর। দীর্ঘ ৩২ বছর চাকরি করলেও একই পদ থেকে তিনি অবসরে যাচ্ছেন আগামী ৩১ মে। শুধু তিনি নন, তার মতো জহুরুল ইসলাম, আবু বকর সিদ্দিক ও অসীম কুমার সরকারও একই সময় একই অফিসের একই পদের চাকরিতে যোগ দিয়ে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে অবসরে যাচ্ছেন পদোন্নতি ছাড়াই।

পদোন্নতি ছাড়াই অবসরে যাচ্ছেন ৭০ ভাগ কর্মচারী

কয়েক মাস আগে যশোর ডিসি কার্যালয়ের অফিস সহকারী শৈবাল কান্তি ঘোষ, মামুনুর রশিদ, আবুল কাশেম, কফিল উদ্দিন, হযরত আলী, বজলুর রহমান, ফজলুর রহমান, হারুন-অর-রশিদ ও আব্দুল কাদেরকেও একইভাবে অবসরে যেতে হয়েছে। এভাবে সারাদেশের প্রত্যেক ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কর্মচারীরা অবসরে যাচ্ছেন। বঞ্চনার ক্ষোভে দগ্ধ এই চাকরিজীবীদের প্রশ্ন, চাকরিজীবনে তারা এমন কী অপরাধ করেছেন যে, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকার পরও সারা জীবনে তারা একটি পদোন্নতিও পেলেন না?

চাকরিজীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই পদে কাজ করছেন মাঠ প্রশাসনের এমন হাজার হাজার কর্মচারী। বঞ্চনার এই কষ্ট নিয়ে ৭০ শতাংশ কর্মচারীকেই যেতে হচ্ছে অবসরে কিংবা পরপারে। এই বৈষম্যের অবসান চেয়ে দুই দশক ধরে নানাভাবে আন্দোলন করছেন তারা। পদবি ও গ্রেড পরিবর্তনের জন্য তারা প্রধানমন্ত্রী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বহুবার। মন্ত্রিপরিষদ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন দীর্ঘদিন। এক পর্যায়ে এই দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটি নির্দেশনা দেয়, সুপারিশ করে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সেই নির্দেশনা আজও বাস্তবায়ন করেনি।

অথচ এরই মধ্যে এই কর্মচারীদের কাজের পরিধি বেড়েছে অনেক। তা ছাড়া মাঠ পর্যায়ে অন্যান্য দপ্তরে সমপদের ২১ ধরনের কর্মচারীর পদবি এবং গ্রেডও পরিবর্তিত হয়েছে। সচিবালয়ে সমপদের কর্মচারীদের পদবি ও গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে দুই যুগ আগে। অবশেষে এবার মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের পদোন্নতির সুপারিশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন সকল বিভাগীয় কমিশনার ও ৪০ জেলার ডিসি।

কিন্তু এর পরও পদোন্নতি ও পদবি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে এ বছরের শুরু থেকে সারাদেশের কর্মচারীরা বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতির (বাকাসস) ব্যানারে টানা আন্দোলন করছেন। হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে টানা কর্মবিরতি, অফিস চত্বরে অবস্থান ও সভা-সমাবেশ করছেন নিজ নিজ কার্যালয়ে। আগামী ২৭ মার্চের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ২৮ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে মহাসমাবেশের মাধ্যমে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বাকাসসের নেতারা।

মাঠ প্রশাসনের শতাধিক কর্মকর্তা বলেন, সারাদেশে মাঠ প্রশাসনের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী ও ভূমি কার্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির (১৩-১৬ গ্রেড) কর্মচারী রয়েছেন প্রায় ১৩ হাজার। এর মধ্যে প্রতিটি শাখায় কাজ করছেন পাঁচ থেকে আটজন অফিস সহকারী। কিন্তু প্রতি শাখায় উচ্চমান সহকারীর পদ আছে মাত্র একটি। ফলে মাঠ প্রশাসনের ৭০ শতাংশ কর্মচারী অফিস সহকারী থেকে পদোন্নতির সুযোগ পাচ্ছেন না। চাকরিজীবনের শুরুর পদ অফিস সহকারী হিসেবেই অবসরে যেতে হচ্ছে তাদের। এর ফলে সামাজিকভাবেও উপেক্ষিত হচ্ছেন তারা। টাইমস্কেল পেয়ে তাদের চাকরির বেতন দ্বিতীয় শ্রেণির হলেও পদবি পাল্টায়নি। তাদের পদবি পরিবর্তন ও পদোন্নতিতে সরকারের অর্থনৈতিক সংশ্নেষ না থাকলেও দীর্ঘদিনেও পদোন্নতি দেয়নি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অথচ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, এসডিজি, রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠ প্রশাসনে রাতদিন কাজ করছেন তারা।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জুডিশিয়াল মুনশিখানা শাখার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক সুশীল কুমার সরকার সমকালকে জানান, পুরো চাকরিজীবনে তিনি কোনো পদোন্নতি পাননি। আশায় ছিলেন অবসরে যাওয়ার আগে অন্তত একটা পদোন্নতি পাবেন। কারণ, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা তাদের পদোন্নতির জন্য সুপারিশ করেছেন। কিন্তু সত্যিই পদোন্নতি মিলবে কিনা, তা নিয়ে দ্বিধা-শঙ্কা রয়েছে তার। একই কার্যালয়ের ট্রেজারি শাখার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক জহুরুল ইসলাম বলেন, সারাজীবন সরকারের কাজ করলাম। কিন্তু শেষ জীবনেও পদোন্নতি না পেয়ে সমাজে নানাভাবে অসম্মানিত হতে হচ্ছে। বউ, ছেলেমেয়েদের কাছে মুখ দেখানোও কষ্টকর হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতির (বাকাসস) সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রেভিনিউ মুনশিখানা (আরএম) শাখার উচ্চমান সহকারী আকবর আলী বলেন, মাঠ প্রশাসনের শতকরা ৭০ ভাগ কর্মচারীই পদোন্নতি পাচ্ছেন না। বাকি ৩০ ভাগ কর্মচারী অফিস সহকারীর ১৬ গ্রেড থেকে উচ্চমান সহকারীর ১৫ গ্রেড পদে পদোন্নতি পেলেও বেতন বাড়ছে না। যদিও একধাপ উন্নতির ফলে তার কাজ কয়েকগুণ বেড়ে যাচ্ছে এবং মাঠ প্রশাসনের পুরো একটি শাখার প্রধানের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে তাকে। বেতন বাড়ে না বলে বেশিরভাগ কর্মচারীই এই পদোন্নতি নিতে চান না। এ ছাড়া সময়ের ব্যবধানে নতুন নতুন শাখা বাড়লেও কর্মচারীর সংখ্যা বাড়েনি। এতে আগের তুলনায় অফিস সহকারীদের কাজ বেড়েছে কয়েকগুণ।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। কারণ সময়ের ব্যবধানে অনেক কিছুতেই পরিবর্তন এসেছে। তাদের বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে। খুব শিগগিরই তাদের পদবি পরিবর্তন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই পরিবর্তনের সারসংক্ষেপ অনুমোদন করেছেন। মুজিববর্ষে তাদের জন্য এটা হবে একটা উপহার।

সরকারি কমর্চারীদের দাবি-দাওয়া পর্যালোচনাসংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দুলাল কৃষ্ণ সাহা অবশ্য বলেন, বিষয়টিকে কর্মচারীরা যত সহজভাবে দেখছেন, তত সহজ নয়। তারা তাদের নিজেদের বিষয়ে ভাবছেন; কিন্তু নীতিনির্ধারকদের তো পুরো দেশ নিয়ে ভাবতে হয়। মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের পদোন্নতি দেওয়া হলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরের কর্মচারীরাও পদোন্নতি চাইবেন। তাই এ নিয়ে এখনও বলার মতো কোনো অগ্রগতি হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির নির্দেশনা সম্পর্কে এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য সারসংক্ষেপ অনুমোদন দিয়েছিলেন। এরপর সচিব কমিটিতে সেটি উপস্থাপনও করা হয়েছিল। কিন্তু কাগজপত্র যথাযথভাবে না থাকায় প্রস্তাবটি আবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছেন বলে জানান তিনি।

বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের সুপারিশ : এদিকে কর্মচারীদের পদোন্নতির পক্ষে সুপারিশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো আট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ও ৪০ জেলার জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীরা বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সহযোগী হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতা ও গতিশীলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। মাঠ প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণের পর মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীদের পদবি ও বেতন গ্রেড উন্নীত হলেও একই শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকার পরও তাদের পদবি ও বেতন গ্রেডের কোনো পরিবর্তন হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ অনুমোদন থাকায় ২০১৮ সালের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে পদবি পরিবর্তনের বিষয়টিকে ‘যৌক্তিক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অথচ এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পরও তাদের পদবি, পদোন্নতি ও গ্রেডে কোনো পরিবর্তন হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে ১১-১৬ গ্রেডভুক্ত কর্মচারীদের বর্তমান পদ পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও সহকারী ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করেছেন তারা। এ ছাড়া পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের তৎকালীন সভাপতি কবির বিন আনোয়ারের সভাপতিত্বে সার্ভিসের ২০১৪ সালের ৪ নভেম্বরের সভায় কর্মচারীদের পদোন্নতির বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, তাদের পদোন্নতি দেওয়া হলে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের বিভিন্ন শাখায় দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। এতে প্রতি ব্যাচে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা কমে যাবে এবং নবীন কর্মকর্তাদের চাকরির শুরুতেই দুই বছরের প্রশিক্ষণ দিলেও কালেক্টরগুলোতে কর্মকর্তার শূন্যতা কম হবে। কর্মচারীরা স্থানীয় হওয়ায় তাদের পদোন্নতি দিলে স্থানীয় সংকট মোকাবিলায় তারা অধিকতর নির্ভরযোগ্য হবেন।

ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে অন্য অনেক দপ্তরের কর্মচারীদের পদবি পরিবর্তন এবং পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীরা তাদের চেয়ে বেশি কাজ করার পরও তাদের পদবি পরিবর্তন এবং পদোন্নতি না হওয়ায় তাদের মধ্যে ক্ষোভ কাজ করছে। এজন্য তাদের কোনো আর্থিক সংশ্নেষও নেই। তাই বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিরা তাদের জন্য সুপারিশ করেছেন। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কর্মচারীদের সামাজিক মর্যাদা দেওয়া উচিত বলে জানান তিনি।

সমপদের ২১ ধরনের কর্মচারীর পদবি ও গ্রেড পরিবর্তন : দুই দশক ধরে আন্দোলনের পরও মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের পদোন্নতি না হলেও বিভিন্ন সময়ে অন্যান্য দপ্তরে সমপদের ২১ ধরনের কর্মচারীর পদবি ও গ্রেড পরিবর্তন করেছে সরকার। এ ছাড়া ১৯৯৫ সালের ১৯ মে সচিবালয়ের প্রায় দুই হাজার তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীকে দ্বিতীয় শ্রেণির কমর্র্কতা পদে উন্নীত করা হয়। পদবি ও গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে- স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ওভারসিয়ার থেকে উপসহকারী প্রকৌশলী, খাদ্য অদিপ্তরের টালি ক্লার্ক থেকে উপসহকারী পরিদর্শক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট থেকে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদ ক্লার্ক থেকে ইউনিয়ন পরিষদ সচিব, হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর থেকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সিএমএম কোর্টের নাজির থেকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কৃষি বিভাগের ব্লক সুপারভাইজার থেকে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপজেলা লাইভস্টক অ্যাসিস্ট্যান্ট, ভেটেরিনারি ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট, কম্পাউন্ডার, ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট এফএ ও পোল্ট্রি টেকনিশিয়ান থেকে উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

সংসদ সচিবালয়ের ক্যাটালগারদের ১৪ গ্রেড থেকে ১১ গ্রেড, খাদ্য অধিদপ্তরের প্রধান সহকারীদের গ্রেড ১৩ থেকে ১০-এ, বাংলাদেশ সচিবালয়ের পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট থেকে পার্সোনাল অফিসার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ফরাস থেকে অফিস সহায়ক এবং সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরের এমএলএসএস থেকে অফিস সহায়ক, সুইপার ও ঝাড়ূদারদের পরিচ্ছন্নকর্মী, নৈশ প্রহরীদের নিরাপত্তাকর্মী পদে রূপান্তর করেছে সরকার। এ ছাড়া ২০১৩ সালের ৩০ মে জেলা প্রশাসনের রাজস্ব বিভাগে কর্মরত তহশিলদারদের ১৬ গ্রেড থেকে ১১ গ্রেডে পদোন্নতি দিয়ে ইউনিয়ন ভূমি সরকারি কর্মকর্তা এবং সহকারী তহশিলদারদের ১৭ গ্রেড থেকে ১২ গ্রেডে পদোন্নতি দিয়ে ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা করা হয়। এর ফলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়গুলোতে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এরপর পদোন্নতির ওই প্রজ্ঞাপন স্থগিত করে জটিলতা নিরসনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ, জনপ্রশাসন, অর্থ ও ভূমি সচিবের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু অর্ধ যুগ পার হলেও সেই সমস্যার সমাধান হয়নি।


শর্টলিংকঃ