পরকীয়ার জেরে হত্যা করে চাচি, লাশ গুম করে চাচা


ইউএনভি ডেস্ক:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চাচির সাথে পরকীয়ার জেরে হত্যা করা হয় মো. জিয়াউল হক (৩০) নামের এক যুবককে। জিয়াউল হক উপজেলার দক্ষিণ শাকতলী গ্রামের আবদুল মুন্সি বাড়ির হুমায়ুন কবিরের ছেলে। তাকে হত্যা করে চাচি, লাশ গুমে সহযোগিতা করে চাচা। 

পরকীয়ার জেরে হত্যা করে চাচি, লাশ গুম করে চাচা

নিহতের মরদেহ সেপটিক ট্যাঙ্কি থেকে উদ্ধার করে রবিবার ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত জিয়া ও তার আপন চাচা বাছির উদ্দিন বাহরাইনে একইসঙ্গে কাজ করতেন।

দুই বছর পূর্বে বাড়িতে এসে চাচা বাছির উদ্দিনের স্ত্রী মোর্শেদা বেগমের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে জিয়া। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাড়ি আসেন চাচা বাছির। চাচা বাড়িতে আসার পরও পরকীয়া আসক্তি কমাতে না পেরে চাচির উপর জবরদস্তি করতে থাকেন জিয়া।

একপর্যায়ে বিরক্ত হয়ে জিয়াকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন চাচি। ঈদের পরদিন বুধবার সন্ধ্যায় জিয়াকে নিজ বাড়িতে ডেকে নেয় চাচি। পরে মোর্শেদার শয়নকক্ষে রাত ১১টার সময় জিয়ার অণ্ডকোষ চেপে ধরে ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে। স্বামী বাছিরের সহযোগিতায় লাশ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে।

এ ঘটনায় মোর্শেদা বেগমকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হলেও তার স্বামী বাছির পলাতক রয়েছে। নাঙ্গলকোট থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ জিয়াউল হকের সন্ধান চেয়ে থানায় একটি জিডি করা হয়।

ওই জিডির সূত্র ধরে অনুসন্ধানে জানতে পারি জিয়ার আপন চাচি মোর্শেদার সাথে তার পরকীয়া ছিল। এর জের ধরে জিয়াকে হত্যা করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিয়াকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে মোর্শেদা বেগম। স্বামী বাছিরকে সাথে নিয়ে একটি পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকিতে তার লাশ গুম করা হয়।


শর্টলিংকঃ