Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

পর্তুগালে হচ্ছে ‘রোনালদো স্টেডিয়াম’


বয়স হয়ে গেছে ৩৪। অথচ, এখনও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে যে কেউ বলবে ২৫-২৬-এর যুবক। মাঠে তার পারফরম্যান্স এখনও যে কোনো তরুণ-যুবক ফুটবলারের চেয়ে বেশি। একের পর এক গোল আর রেকর্ড গড়ে যাওয়ার জন্যই যেন জন্ম হয়েছে পর্তুগালের ক্ষণজন্মা ফুটবলারের। শুক্রবার রাতেই লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে করে ফেলেছেন ক্যারিয়ারের ৬৯৯তম গোল। আর একটি হলেই স্পর্শ করে ফেলবেন ৭০০তম গোলের মাইলফলক।

রোনালদোর এমন এক কৃতিত্বে গর্বিত তার দেশ পুরো পর্তুগাল। পর্তুগিজদের ট্রফি ক্যাবিনেটে প্রথম এবং একমাত্র ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপটা কিন্তু রোনালদোই উপহার দিয়েছিলেন। তার নৈপুণ্যেই প্রথমবারের মত আয়োজিত উয়েফা ইউরো নেশন্স লিগের শিরোপা জিতেছিল পর্তুগিজরা।

এহেন রোনালদোকে স্মরণীয় এবং বরণীয় করে রাখতে আয়োজনের কমতি নেই পর্তুগিজদের। কিন্তু উল্লেখযোগ্য আয়োজন যেটা করেছে স্পোর্টিং সিপি কর্তৃপক্ষ, সেটা সত্যিকারার্থেই অভাবনীয়, অবিস্মরনীয়। পর্তুগিজ ক্লাবটি তাদের স্টেডিয়ামের নামই পরিবর্তন করে ফেলছে। পরিবর্তে নাম রাখছে রোনালদোর নামেই।

স্পোর্টিং সিপির ঘরের ছেলে ছিলেন রোনালদো। ১২ বছর বয়সেই পর্তুগিজ ক্লাবটিতে যোগ দেন তিনি এবং ২০০২-০৩ মৌসুমে এই ক্লাবের হয়েই ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো। ২০০২ সালের ৭ অক্টোবর, সিপির হয়ে তাদের পুরনো স্টেডিয়ামে মরেইরেনসের বিপক্ষে প্রথম গোলটি করেছিলেন সিআর সেভেন।

এরপর ২০০৩ সালেই স্পোর্টিং সিপির নতুন স্টেডিয়াম, এস্টাডিও হোসে আলভালাদের উদ্বোধনী ম্যাচে ম্যানইউর বিপক্ষে চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি। যে কারণে, কিশোর বয়সেই রোনালদোর ওপর চোখ পড়ে যায় ম্যানইউর কিংবদন্তি কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের এবং তাকে তিনি কিনে নিয়ে যান ম্যানচেস্টারে। তার আগে সিপির হয়ে ৩১ ম্যাচ খেলে ৫ গোল করেছিলেন তিনি।

২০০৩ সালে স্পোর্টিং সিপি ছাড়লেও এখনও পর্যন্ত ক্লাবটির সঙ্গে আত্মার বন্ধন ধরে রেখেছেন সিআর সেভেন। শুক্রবার রাতে লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে স্কোর করে ৬৯৯ গোলের মাইলফলকে পৌঁছে যাওয়ার পর সিপির প্রেসিডেন্ট ফ্রেডেরিকো ভ্যারান্দাস ঘোষণা দিয়েছেন, এস্টাডিও হোসে আলভালাদের নামই পরিবর্তন করে ফেলবেন। নতুন নাম দেবেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো স্টেডিয়াম।

পর্তুগিজ সংবাদ তুত্তোস্পোর্টকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ভ্যারান্দাস বলেন, ‘স্টেডিয়ামকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো হিসেবে নামকরণ করার একটা প্রস্তাব আমাদের কাছে এসেছে। আমরাও এর বিপক্ষে নই। যদি এটা বাস্তবায়ন হয়, তাহলে তা হবে আমাদের জন্য বড় একটি গর্বের বিষয়।’

রোনালদোর প্রশংসা করে ভ্যারান্দাস বলেন, ‘ক্লাবের ইতিহাসে সব সময়ের জন্যই রোনালদো হয়ে থাকবেন একটি গর্বের প্রতীক হিসেবে। তার সঙ্গে সংযুক্ত আমরা, এটা ভাবতেই নিজেদেরকে গর্বিত মনে করি, যে বিশ্বসেরা ফুটবলারের নামটির সঙ্গে আমাদের নামও উচ্চারিত হয়।’


Exit mobile version