Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

পলকসহ ৫০ এমপির বিরুদ্ধে অ্যাকশনে আ’লীগ


ইউএনভি ডেস্ক:

কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে পারেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও এমপিসহ প্রায় ৫০ জন। দলের সিদ্বান্ত অনুযায়ী উপজেলা নির্বাচনে দল মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করায় রবিবার থেকে তাদেরকে পাঠানো হচ্ছে কারণ দর্শানোর চিঠি। জবাব দেয়ার সময় ১৫ দিন। তবে, কৌশলগত কারণে এবার বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না দলটি।

বিএনপিসহ অনেকগুলো রাজনৈতিক দল অংশ না নেয়ায় চার ধাপে অনুষ্ঠিত ৪৪৫টি উপজেলার মধ্যে নির্বাচনে ৩৩০টি উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের।

এর মধ্যে নৌকা হেরেছে ১৩৬ উপজেলায়, যেখানে জিতেছে বিদ্রাহী প্রার্থীরা। বিদ্রোহী প্রার্থীদের এই জয়ের নেপথ্যে তাদের পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে।

এ তালিকায় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ আছেন ৫০ জন এমপি। শুক্রবার দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের রিপোর্টের ভিত্তিতে তৈরি এমপিদের তালিকা দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে জমা দেয়ার পর সিদ্ধান্ত হয়, কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার।

এর মধ্যে আছেন চার জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। এরা হলেন, গাজীপুরের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

এছাড়া, আত্নীয় ও একান্ত অনুসারীর হয়ে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেয়ার তালিকায় আছেন ৪১ জন সংসদ সদস্য।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ জানান, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের শীর্ষ নেতারা বা দায়িত্বশীল নেতারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যেন না যান, সে জন্যই এই ব্যবস্থা।’

দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান জানান, ‘মন্ত্রী, এমপি যেই হোক কারণ দর্শানোর জবাব সন্তোষজনক না হলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শাস্তির মুখোমুখি হবেন তারা।’

তিনি বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করেছেন এমন কেউ যে পদেই থাকুক না কেনো, শো’কজের জবাব দিতে হবে এবং তিনি যদি সুস্পষ্টভাবে বোঝাতে না পারেন যে তিনি কেনো দলের শৃঙ্খলার বাইরে গেছেন, তখন তাকে শাস্তি মেনে নিতে হবে।’

এর আগে, ২০১৩ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে সংসদ সদস্যদের তালিকা তৈরি হলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্ষমা করা হয় অভিযুক্তদের। তবে, এবার দলীয় ইমেজ বা দলকে সুসংগঠিত রাখতে এমন কঠোর হওয়ার সিদ্বান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান, দলের দায়িত্বশীল নেতারা। -সূত্র: ডিবিসি অনলাইন।


Exit mobile version