নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা:
পাবনা শহরের মনসুরাবাদ উপশহর এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ১৩ নারী সদস্যসহ ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম (বিপিএম,পিপিএম) জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে শহরের মনসুরাবাদ উপশহর এলাকার ৫ নম্বর সড়কের ১১৯ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ও বাড়ি থেকে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনার অভিযোগে বাড়ির মালিক পাবনার ধুলাউড়ি কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আনোয়ার হোসেন ও ১৩ জন মেয়েকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে বিপুল সংখ্যক কথিত জিহাদী বই, সদস্য সংগ্রহের ফরম, টাকা সংগ্রহের রশিদ বই উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন পালিয়া যায়।
আটককৃতরা হলো, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার কলাগাছি গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে আরিফা খাতুন, বেলকুচির গোপালপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের মেয়ে রাবেয়া খাতুন, বগুড়ার আজিজুল হক কলেজের ছাত্রী শামসুজ্জামানের মেয়ে শারমিন শামচী. গাবতলী থানার বাংগুনী মধ্যপাড়ার আফসার আলীর মেয়ে লুনা খাতুন, পাবনার বলরামপুরের আহম্মদ প্রামানিকের মেয়ে লাকি খাতুন, চিনাখড়ার আমিন উদ্দিনের মেয়ে তাসলিমা খাতুন ওরফে সুমাইয়া, চাটমোহরের বোয়ালমারী গ্রামের মুহাব আলীর মেয়ে মাহফুজা খাতুন, কাশিনাথপুর নতুনপাড়ার সোহরাব মোল্লার মেয়ে নাজমা খাতুন, আটঘরিয়ার হাপানিয়া গ্রামের বাকী বিল্লার মেয়ে শামিনা নায়রিন, আতাইকুলার গঙ্গারামপুরের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে তাসলিমা খাতুন, নাটোরের বাগাতীপাড়ার দেবনগর গ্রামের মৃত মহসীন আলীর মেয়ে ফাতেমা খাতুন, লালপুরের বাউড়া গ্রামের জমসেদ আলীর মেয়ে আসমাউল হুসনা, ঢাকা মীরপুর ১৩ আলী আহম্মেদ এর মেয়ে রুমা খাতুন। আটক নারীরা বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, আটককৃতরা ওই বাড়িতে অবস্থান নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন ধরনের কর্মকান্ড পরিচালনাসহ দেশব্যাপী তাদের সদস্য সংগ্রহ এবং তাদের কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য অর্থ সংগ্রহ এবং উত্তরাঞ্চলের জেলা সমূহে নাশকতামূলক জঙ্গী কার্যক্রম পরিচালনার বৈঠক করে আসছিল।