পাবনায় নিজেদের পতিত জমিকে আবাদযোগ্য করছে জেলা পুলিশ


কলিট তালুকদার,পাবনা:
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনা পরবর্তী খাদ্য সংকট মোকাবেলায় পাবনায় পুলিশ বিভাগ নিজস্ব পতিত জমি ও জলাশয়কে আবাদযোগ্য করছে । পড়ে থাকা খালি জমিতে সবজি ও জলাশয়ে মাছ চাষের জন্য চলছে সংস্কার কাজ।

পাবনায় নিজেদের পতিত জমিকে আবাদযোগ্য করছে জেলা পুলিশ

এসব জমিতে উৎপাদিত খাদ্য পুলিশ সদস্যদের চাহিদা মিটিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে বলে জানান জেলা পুলিশ । করোনা পরবর্তী কালে খাদ্য সংকট মোকাবেলায় বাড়াতে হবে খাদ্য উৎপাদন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাগিদ দিয়েছেন দেশের প্রতিটি জমিকে উৎপাদনের আওতায় আনার।

সে নির্দেশনা মেনে নিজেদের দখলে থাকা পতিত জমি খাদ্য উৎপাদনের উপযোগী করতে মাঠে নেমেছে পাবনা জেলা পুলিশ।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের আশেপাশের প্রায় ছয় বিঘা পতিত জমির ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে চলছে শাক সবজি বোনার প্রস্তুতি।

আর জলাশয় পরিস্কার করে চলছে মাছ চাষের প্রস্তুতি। কৃষি শ্রমিকের পাশাপাশি রুটিন কাজের বাইরে পুলিশ সদস্যরাও স্বেচ্ছায় অংশ নিয়েছে এ কাজে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ছাড়াও জেলার ১০ থানা, সকল ফাঁড়ি ও অভিযোগ কেন্দ্রের পাশের খালি জমিকে আবাদযোগ্য করে ফসল রোপন আর জলাশয়ে মাছ চাষের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পাশাপাশি বাড়ির আশেপাশের পতিত জমি কাজে লাগাতে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার পরিকল্পনাও তাদের রয়েছে।পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম (বিপিএম পিপিএম) বলেন, জেলার সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে পতিত জমির হিসেবটা কয়েকশ বিঘা ছাড়াবে।

এসকল জমিকে কৃষি আবাদের আওতায় আনা হলে উৎপাদিত ফসল খাদ্য নিরপত্তায় বড় ভূমিকা রাখবে। নিশ্চিত হবে অব্যবহৃত জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার।

প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনার পর পাবনা জেলা পুলিশ অব্যবহৃত জমি আবাদযোগ্য করতে যে ভাবে কাজ করছে দেশের সকল সরকারী বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান তাদের দখলে থাকা অব্যবহৃত জমি আবাদযোগ্য করতে কাজ করলে দেশে বাড়বে খাদ্য উৎপাদন।

আর খাদ্য নিরপত্তায় রাখবে বড় ভূমিকা। পুলিশ সুপার আরও বলেন জেলা পুলিশের পতিত জমিতে উৎপাদিত এসব খাদ্য পুলিশ সদস্যদের চাহিদা মিটিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝেও বিতরণ করা হবে বলে।


শর্টলিংকঃ