Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

পাবনায় ২২ দিনে শতাধিক জেলে আটক


কলিট তালুকদার পাবনা:

২২ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে বুধবার দিনগত মধ্যরাত থেকে আবার শুরু হয়েছে ইলিশ মাছ ধরা। আর শুক্রবার থেকে আবার শুরু হচ্ছে টানা ৮ মাস জাটকা (৯ ইঞ্চির চেয়ে ছোট ইলিশ) নিধন ও ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা। প্রজনন মৌসুম হওয়ায় গত ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা, পরিবহন, সংরক্ষণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। তবে সরকারের এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুজানগর ও আমিনপুরে ইলিশ শিকারের অপরাধে শতাধিক জেলের দন্ড হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ ইলিশ মাছ ও জাল।

ছবি: প্রতীকী

সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) ফরহাদ হোসেন জানান, প্রতিবছরের মতো এ বছরও ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে “মা ইলিশ রক্ষা করুন ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধি করুন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গেল ৯ অক্টোবর থেকে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা,পরিবহন,খাওয়া ও মজুদ করা সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।

এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ যেন ইলিশ মাছ শিকার না করতে পারে এই জন্য পুলিশ মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগীতায় আমিনপুরের ঢালার চর, কাজিরহাট, নটাকোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮৯ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ২৮ জনের নামে মৎস্য আইনে ৭ টি মামলা দায়ের, ২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং ৩৩ জনের কাছ থেকে এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানে জব্দ করা হয় দুই লাখ ৫ মিটার জাল ও ৫’শ৫০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়।

একই ভাবে সুজানগর উপজেলার পদ্মা নদীর সাতবাড়িয়া,মালিফা, হাসেমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১’শ ৫০ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে মৎস্য আইনে ১৪ জনের নামে ৩ টি মামলা দায়ের, ১’শ ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা, ৩০ জনের কাছ থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানে জব্দ করা হয় ৬ লাখ ৫৫ হাজার মিটার জাল ও ৭’শ ৮৮ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ধ্বংস এবং ইালশ মাছ বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরন করা হয়।

সহকারী পুলিশ সুপার আরো বলেন, পাবনার পুলিশ সুপার শেখ ররিকুল ইসলাম (বিপিএম,পিপিএম) এর নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন এবং জেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সহায়তায় নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত নদীতে টহল দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা মান্যকারী জেলেদের প্রতি কৃর্তজ্ঞা জানান তিনি।

 


Exit mobile version