পুঠিয়ায় আদালতের জব্দকৃত ২৫৫ বস্তা পচা ডাউল গায়েব!


পুঠিয়া প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামানের নেতৃত্বে একটি চাতাল মিলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। পরে সেখানে গোডাউন মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ২৫৫ বস্তা পচা অ্যাঙ্কার ডাউল জব্দ করে তা ধ্বংস করার নির্দেশ দেন। কিন্তু ভ্রাম্যমান আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ওই ডাউলের মালিক অতিগোপনে জব্দকৃত ডাউল গুলো সরিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।


উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা গেছে, এলাকাবাসিদের অভিযোগে গত ২৭ জুন বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওলিউজ্জামান ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন ধোপাপাড়া এলাকার হেদায়াত অ্যান্ড হিজবুল্লা চাউল মিলে। পরে সেখানে ২৫৫ বস্তা পচা অ্যাঙ্কার ডাউল জব্দ করে ফিসফিড মিল মালিকের একজন কর্মচারীর নামে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি ওই জব্দকৃত ডাউল গুলো ধ্বংস করার নির্দেশ দেয়া হয়।

স্থানীয়রা বলেন, একটি ফিস ফিড মিল মালিক পাশের একটি চাতালে তাদের বিভিন্ন উপকরণ মজুদ রাখেন। ওই গোডাউনে দীর্ঘদিন থেকে চরম দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে আশে পাশের লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেন। পরে ওই গোডাউনে নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এতে পচা অ্যাঙ্কার ডাউল মজুদ রাখার অপরাধে ডাউল মালিককে আদালত ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অপরদিকে গোডাউনে থাকা ২৫৫ বস্তা ডাউল জব্দ করে তা ধ্বংস করার নির্দেশ দেন। কিন্তু রহস্যজনক ভাবে নির্বাহী কর্মকর্তা জব্দকৃত ওই মালামাল গুলো ধ্বংস না করে চলে যান। পরে ওই দিন রাতেই ডাউল মালিক মহিষের গাড়ি করে তা সরিয়ে ফেলে।

হেদায়েত অ্যান্ড হিজবুল্লা চাউল মিল মালিক হাবিবুল্লাহ বলেন, আমি এই চাতাল ও গোডাউনের মালিক। আমার চাতালে পাশের একটি ফিড মিলের মালিক ২৫৫ বস্তা পচা ডাউল রেখে ছিল। পরে ভ্রাম্যমান আদালত ওই মালিকের একজন কর্মচারীর নামেই ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন এবং ওই মালামাল গুলো ধ্বংসের নির্দেশ দিয়ে ছিলেন। কিন্তু মিল মালিক ওই রাতেই মহিষের গাড়ি করে পুরো মালামাল গুলো উজালপুর এলাকায় নিয়ে গেছেন।

তবে জিউপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হোসনে আরা বেগম বলেন, ধোপাপাড়া এলাকায় একটি গোডাউনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ওই দিন আদালত চলাকালিন সময় জব্দকৃত পচা মালামাল গুলো ধ্বংস করতে পরিষদের চৌকিদার অথবা সাধারণ সদস্যর উপস্থিত থাকতে বলে ছিলেন তিনি। কিন্তু পরবর্তিতে ওই মালামাল কি করা হয়েছে তা আমার জানা নেই।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান বলেন, পচা ডাউল রাখার অপরাধে একজনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি জব্দকৃত মালামাল গুলো ধ্বংস করতে জিউপাড়া ইউপির একজন সদস্যকে বলা হয়েছে। জব্দকৃত মালামাল গুলো ধ্বংস না করে সরিয়ে ফেলা বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।


শর্টলিংকঃ